সেনা অভ্যুত্থানের পর বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সংক্রান্ত এক নির্বাহী আদেশে সই করেন।
এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় দেশটির সেনাবাহিনী, তাদের পরিবার এবং ব্যবসা-বাণিজ্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকে পেতে যাওয়া ১ বিলিয়ন ডলারের সহায়তাও স্থগিত করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে দ্রুত ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তি দেবার আহ্বান জানিয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিক্ষোভে গুলি চালানোর পর আহত ১৯ বছর বয়সী নারী মায়া থুয়ে থুয়ে খাইং আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার মাথায় গুলি লেগেছে।
বুধবার মিয়ানমারের একটি গ্রামের ৪০ জন পুলিশ সদস্য বিক্ষোভকারীদের সমর্থন দিয়ে আন্দোলনে নামে। সেসময় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে গেলে তর্কে জড়িয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন।
সেনা শাসনের অবসান চেয়ে কাজে যোগ না দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন ওই পুলিশ সদস্যরা।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী ও বেসামরিক সরকারের মধ্যে নির্বাচনে জালিয়াতি নিয়ে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে।
তার পরপরই ক্ষমতায় থাকা এনএলডির শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রিসভার সদস্যসহ প্রভাবশালী রাজনীতিকদের আটক করে সেনাবাহিনী।
পরে সেনাবাহিনী এক ঘোষণায় জানায়, আগামী ১ বছরের জন্য মিয়ানমারের ক্ষমতায় থাকবে তারা।
তবে সেনাবাহিনীর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে প্রতিবাদ শুরু করেছে মিয়ানমারের বিভিন্ন পেশাজীবী এবং নাগরিকদের বড় একটা অংশ।
অভ্যুত্থানের পর থেকে সু চি কোথায় আছেন তা এখনও পরিস্কার করেনি দেশটির সেনাবাহিনী। আটকের পর তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে একটি অভিযোগ; আমদানি-রপ্তানি আইন ভঙ্গ এবং অবৈধভাবে যোগাযোগ ডিভাইস (ওয়াকিটকি) ব্যবহার করা। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তার।