চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মিয়ানমারের প্রধান বিচারপতি ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে ৩ দেশের নিষেধাজ্ঞা

মিয়ানমারের প্রধান বিচারপতি ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ৭ ব্যক্তি এবং ২ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিকে সামনে রেখে সোমবার এই নিষেধাজ্ঞা জারির কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট।

এরআগে এই তিনটি দেশ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী প্রধান মিন অং হ্লাইং, জান্তার অন্যান্য কর্মকর্তা এবং বিচার বিভাগের শীর্ষ কিছু কর্মকর্তা যারা নোবেল বিজয়ী অং সান সুচিকে অপসারণ এবং সেনা অভ্যুত্থানে জড়িত ছিলো তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

২০২০ সালের নভেম্বর মাসে নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অজুহাতে নির্বাচিত সরকার অং সান সুচিকে অপসারণ করে ক্ষমতা দখলে নেয় সামরিক বাহিনী প্রধান মিন অং হ্লাইং। সেনা অভ্যুত্থানে সাহায্যকারী এবং দেশটিতে সহিংসতায় সমর্থনকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে এই তিন দেশ।

মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের ৭ জন ব্যক্তি এবং দু’টি প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি জানায়।

এই তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মিয়ানমারের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি টুন টুন ও, অ্যাটর্নি জেনারেল থিডা ও এবং জান্তা সরকারের নিয়োগকৃত প্রধান নির্বাচন কমিশনার থেইন সোয়ে। এছাড়া রয়েছেন জান্তার সহযোগী হিসেবে পরিচিত ব্যবসায়ী তে যা এবং তার দুই ছেলে টু টেট তে যা ও পি ফিয়ো তে যা এবং জান্তার সহযোগী ব্যবসায়ী জনাথন মিয়ো কিয়াউ থং।

আরোপিত নিষেধাজ্ঞার ফলে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিরা কোনো ধরনের ব্যবসায়ী লেনদেন করতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্রে এবং সেই দেশে থাকা তাদের সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হবে।

প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের প্রতিরক্ষা ক্রয় পরিদপ্তর এবং জান্তার সহযোগী ব্যবসায়ী জনাথন মিয়ো কিয়াউ থং এর প্রতিষ্ঠান কেটি সার্ভিসেস এন্ড লজিটিকস কোম্পানি লিমিটেড।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করতে গিয়ে প্রায় দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করেছে এবং ১০ হাজার মানুষকে আটক করেছে। তাই আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমারের মানুষের প্রতি সামরিক শাসকদের অভ্যুত্থান এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে জবাবদিহিতা তৈরিতে সাহায্য করবে।