এবছর বিশ্বখ্যাত মিস ইউনিভার্সের মুকুট পরলেন মিস ফ্রান্স। সোমবার ফিলিপাইনে জমকালো এক আয়োজনের মধ্যে দিয়ে মিস ফ্রান্সকে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এবছরের মিস ইউনিভার্স বেছে নেওয়ার বিচারকদের তালিকায় ১৯৯৪ সালে নির্বাচিত ভারতের মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেনও ছিলেন।
২৩ বছর বয়সী ডেন্টালের শিক্ষার্থী আইরিস মিশেনারি নর্দান ফ্রান্সের ছোট্ট একটি শহরের বাসিন্দা। এবছরের বিজয়ীকে জয়ের মুকুট পরিয়ে দেন গত বছরের বিজয়ী মিস ফিলিপাইন পিয়া অ্যালোনজো উর্টজবাখ।
চূড়ান্ত পর্বে উপস্থাপক স্টিভ হার্ভির প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিন চূড়ান্ত প্রতিযোগীর মধ্যে থাকতে পারলেই সম্মানিত বোধ করবেন তিনি। এরপরই ৮৬ জন প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে তার নামটি আসে চূড়ান্ত বিজয়ী হিসেবে।
শেষ দিনে চূড়ান্ত পর্বের তিন প্রতিযোগীর কাছে তাদের জীবনের প্রধান ব্যর্থতার কথা জানতে চাওয়া হয়। আইরিশ বলেন, আমি অনেক বার ব্যর্থ হয়েছি। শুধু এটুকু বলতে চাই, ব্যর্থ হওয়ার পরও মানুষকে উঠে দাঁড়াতে হবে, আবার চেষ্টা করতে হবে এবং সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
এবছর মিস হাইতি রাকুল পেলিসিয়ার প্রথম রানার আপ নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১০ সালে হাইতিতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পুরো শহর ধ্বংস হয়ে গেলেও বেঁচে যান ২৫ বছর বয়সী এই সুন্দরী। আর দ্বিতীয় রানার আপ নির্বাচিত হন ২৩ বছর বয়সী মিস কলম্বিয়া আন্দ্রে তোভার।
এবছর মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা উপস্থাপনা করেন মার্কিন কৌতুক উপস্থাপক স্টিভ হার্ভি। এর আগের বছর লাস ভেগাসে আয়োজিত মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভুল করে বিজয়ীর নাম হিসেবে মিস কলম্বিয়ার নাম ঘোষণা করে বসেন স্টিভ। সেবার বিজয়ী হয়েছিলেন মিস ফিলিপাইন। পরে ভুল শুধরে মিস কলম্বিয়ার মুকুট খুলে পরানো হয় মিস ফিলিপাইনকে।এছর তাই সমাপনী অনুষ্ঠানে আগেই নিজের অবস্থান পরিস্কার করে নেন তিনি। বলেন, আমি স্টিভ হার্ভি। আর এবার সঠিক নামটাই এনেছি।