প্রথমার্ধে যা-ও একটু লড়াই হয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধে স্বাগতিক রাশিয়ার কাছে পাত্তাই পেল না মিশর। মোহামেদ সালাহ’র ফেরার ম্যাচে দলটি হেরেছে ৩-১ ব্যবধানে। রাশিয়ার তিন গোলের একটি আবার মিশরের দেয়া, অর্থাৎ আত্মঘাতী। মিশরের একমাত্র গোলটি করেন সালাহ, পেনাল্টি থেকে।
এই জয়ে ‘এ’ গ্রুপ থেকে দুই ম্যাচ শেষে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রাশিয়া। দুটি করে ম্যাচ বাকি আছে উরুগুয়ে, সৌদি আরবের। উরুগুয়ে এক ম্যাচ শেষে তিন পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়। সৌদি আরব (০ পয়েন্ট) নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে আট-দশ গোলের ব্যবধানে জিততে না পারলে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ড খেলবে উরুগুয়ে।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথম দ্বিতীয় ম্যাচ জিততে সমর্থ হল রাশিয়া। আর মিশর এ যাবতকালে বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে জয়ই পায়নি। তারা ড্র করেছে দুটিতে, হার চারটিতে।
পিটারসবার্গে প্রথমার্ধে স্বাগতিক রাশিয়া বেশি আক্রমণে গেছে দুই উইং দিয়ে। হাতেগোনা কয়েকবার তাদের সেন্টারমিড দিয়ে উপরে উঠতে দেখা গেছে। এই ৪৫ মিনিটে স্বাগতিকরা আট বার গোলের দিকে শট নেয়। যার মধ্যে একটি শট গোলের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। শটটি নেন ইগনাসেভিচ। মিশর গোলের দিকে শট নেয় পাঁচ বার। তার মধ্যে একটিও টার্গেটে ছিল না।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের পর প্রথমবার মাঠে নামা সালাহ ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। প্রথম ২০ মিনিটে মাত্র পাঁচবার বল টাচ করেন।
৪২তম মিনিটে তিনি প্রথম ভালো সুযোগ পান। মারওয়ান মোহসেন বক্সের ভেতর নিজে বল না ধরে সালাহকে ছেড়ে দেন। তার সঙ্গে লেগে ছিলেন একজন। সালাহ প্রথম টাচের পর তড়িতগতিতে শরীর ঘুরিয়ে ডানপায়ে গোলে শট নেন। অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে চলে যায়।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আত্মঘাতী গোল অর্থাৎ নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন মিশরের ডিফেন্ডার আহমেদ ফাথি। রাশিয়ার মিডফিল্ডার গলোভিন বক্সের বাইরে থেকে গোলে শট নেন। ফাথি সেটি ক্লিয়ার করতে গিয়ে হাঁটুতে লাগান। বলে চলে যায় নিজেদের জালে। মিশর গোলরক্ষক বাঁদিকে ডাইভ দিয়ে আটকানোর বৃথা চেষ্টা করেন।
৬২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডেনিস চেরিশেভ। সৌদি আরবের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন তিনি। এদিন তিন গোল করা রোনালদোকে স্পর্শ করলেন।
চেরিশেভকে বল দেন মারিও ফিগুয়েরা ফার্নান্দেজ। আগুয়ান বল রিসিভ না করেই গোলে প্লেস করেন তিনি।
তিন মিনিট বাদে ব্যবধান ৩-০ করেন আর্টেম জুবা। বক্সের ভেতর বুক দিয়ে বল রিসিভ করে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার আলী গাবরকে বিট করে ডানদিকের পোস্টে বল রাখেন।
৭২তম মিনিটে বক্সের ভেতর সালাহকে ফাউল করেন রাশিয়ার ডিফেন্ডার। রেফারি ফ্রি-কিকের নির্দেশ দেন বক্সের বাইরে। পরে ভিডিও রেফারির নির্দেশে রিপ্লে দেখে পেনাল্টি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। স্পটকিক থেকে বিশ্বকাপে প্রথম গোল করেন সালাহ।