বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের আগাম জামিন আবেদন নিয়ে বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সিনিয়র বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ৩ সপ্তাহের জামিন দিলেও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর তাকে বিচারিক আদালতে আত্নসর্মপনের নির্দেশ দিয়েছেন।এখন বিভক্ত আদেশটি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি কাছে পাঠানো হবে। তবে তাকে গ্রেফতার করা যাবে কি না এ নিয়ে দ্বিমত রয়েছে।
বাসে অগ্নিসংযোগ ও হাতবোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে পল্টন ও মতিঝিল থানায় দুটি মামলা করে পুলিশ। এর সঙ্গে সাংবাদিকদের জন্য প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা দুদকের মামলাসহ ৩ মামলায় আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন মির্জা আব্বাস। তবে দুদকের মামলা শোনার এখতিয়ার না থাকায় কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে শুধু মতিঝিল ও পল্টন থানার মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে আদেশ দেন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, মামলাটিতে দুই বিচারপতি দুরকম মত দিয়েছেন। একজন তাকে তিন সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন আরেক বিচারপতি উনার আগাম জামিনের দরখাস্ত খারিজ করে অনতিবিলম্বে আদালতে আত্নসমর্পনের কথা বলেছেন। নিয়ম অনুযায়ী এখন এই আদেশ তৃতীয় বিচারপতির কাছে যাবে এবং উনি যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেটাই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
বিভক্ত আদেশের পর ব্যখ্যা দিয়েছে দুই পক্ষ। মাহবুবে আলম আরো বলেন, সারেন্ডার করার আগে উনার যে অবস্থান ছিলো। এখন সেই অবস্থানে চলে গেছেন। তখন তিনি পলাতক ছিলেন। এই অবস্থা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না।
আসামী পক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, উনি আদালতে হাজির ছিলেন, তাহলে কিভাবে তিনি পলাতক হন। মামলা হলেই যদি কেউ পলাতক হয় তাহলেতো বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী মামলার ভয়ে পালিয়ে আছেন।
মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করা যাবে কিনা সে বিষয়েও ভিন্ন মত রয়েছে আইনজীবীদের। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা বাহিনী নিশ্চয়ই এটা দেখবে। তারা যা করা উচিত তাই করবেন। দুর্নীতি মামলায় অবশ্যই গ্রেফতার করতে পারে।
আর আসামী পক্ষের আইনজীবী বলেন, প্রধান বিচারপতির আদালত এখন মূলতবি রয়েছে। সেটা খুললেই তিনি আদালত ঠিক করে দিবেন, তখন আমরা শুনানির জন্য যাব। এখন বিধি মোতাবেক তাকে গ্রেফতার করা যাবে না।
হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের আদেশের পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে নিজের অবস্থান জানান বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাস, আমাকে তারা পলাতক বলছে। আমার সন্দেহ তারা আমাকে হয়রানি করতে পারে। তাই আমার অনুরোধ আমাকে ভোট দিয়ে এর জবাব দিবেন আপনারা।’
আত্মগোপনে থাকার সময় থেকে ঢাকা দক্ষিণে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস।