ত্রিদেশীয় সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে আয়ারল্যান্ড বোলারদের উপর ভয়ানক তাণ্ডব চালিয়েছিলেন শাই হোপ ও জন ক্যাম্পবেল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনারই করেছিলেন দেড়শ’র বেশি রান। জুটিতে এসেছিল ৩৬৫। সেই ম্যাচের একদিন পর ক্যারিবীয়দের মুখোমুখি বাংলাদেশ।
উইন্ডিজ- ৯৩/২ (১৮.৫)
নিজেদের প্রথম ম্যাচে টাইগার বোলারদের অবশ্য পড়তে হয়নি ক্যাম্পবেলের সামনে। চোটের কারণে একাদশে নেই এ বাঁহাতি ওপেনার। তাতেও স্বস্তি মিলছিল না। হোপের ব্যাটে ছুটছিল উইন্ডিজ। হোপ এখনও আছেন। তবে আরেক ওপেনার সুনিল আমব্রিসকে নিয়ে জুটিতে ৮৯ রান তোলার পর ত্রাতা হয়ে এসেছেন মিরাজ। আমব্রিসকে ফিরিয়ে দিয়েছেন ব্রেক-থ্রু। পরের ওভারেই সাকিব দিয়েছেন দ্বিতীয় ধাক্কা।
জমতে থাকা জুটিতে আমব্রিসের অবদান ৩৮, ৪ চারে ৫০ বলের ইনিংস। ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্যারিবীয় ওপেনারকে মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দী করান অফস্পিনার মিরাজ।
পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্রাভোকে (১) উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দী করেন সাকিব আল হাসান।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার তথা মাশরাফীর প্রথম ওভারে আমব্রিস অল্পের জন্য এলবিডব্লিউ হননি। পরপর দুই বলে মাশরাফীর জোরাল আবেদন নাকচ করে দেন আইরিশ আম্পায়ার। উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা সুযোগ দিয়েছিলেন অতটুকুই। বলা চলে নির্ভুল ক্রিকেট খেলেই শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাচ্ছিলেন দলীয় সংগ্রহ। পাল্টা আঘাতে আপাতত স্বস্তিতে টাইগার বোলাররা।