ক্যারিয়ারের শুরুতে মেহেদী হাসান মিরাজ পেয়েছিলেন ‘টেস্ট স্পেশালিস্ট’ তকমা। অভিষেক টেস্ট সিরিজে ইতিহাস গড়ে বিশ্ব ক্রিকেটে হইচই ফেলে দেয়া টাইগার অফস্পিনার এবার আলোচনায় বোলারদের ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বরে উঠে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ে অবদানের ছাপ পড়েছে র্যাঙ্কিংয়ে। মিরপুরে প্রথম ম্যাচে ৪ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে দুই ধাপ এগিয়েছেন মিরাজ। বুধবার হালনাগাদ করা আইসিসির বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে তরুণ তারকা।
শুধু টেস্ট নয়, সব সংস্করণে ভালো করার স্পৃহা মিরাজকে ধীরে ধীরে কেবল উপরেই তুলছে। উন্নতির পেছনে ওয়ানডে দলে ধারাবাহিক হতে পারা ও ২০১৯ বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতার ব্যাপারকে সামনে আনলেন তিনি।
বুধবার ভিডিও বার্তায় মিরাজ বলেছেন, ‘প্রথম যখন খেলা শুরু করি, তখন কিন্তু টেস্ট দিয়েই শুরু করেছিলাম। প্রথমদিকে ওয়ানডেতে তেমন সুযোগও পাইনি। ধারাবাহিকভাবে ওয়ানডে খেলছি ২০১৮ সাল থেকে, যেটা আমাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর হয়েছিল, আমরা যেটা জিতেছিলাম। এরপর থেকে নিয়মিত ওয়ানডে খেলছি। তারপর এশিয়া কাপ, দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড সফর, বিশ্বকাপ খেলেছি। উইন্ডিজ সফর, ওখান থেকে ছোট ছোট পারফর্ম করতে করতে আজকে এই জায়গায়।’
‘যেটা সবসময় চেষ্টা করেছি যে, ওয়ানডে ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের রানের জন্য অনেক তাড়া থাকে। তাই মনে করেছি, যদি ওই জায়গাটায় ফোকাস থাকে, যদি ভালো করতে পারি, তাহলে সুযোগ বেশি থাকবে। আর যেটা বলব, বিশ্বকাপ। সেটা অনেক বড় একটা ইভেন্ট ছিল। যা আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়েছে।’
‘বিশ্বকাপে বিশ্বমানের খেলোয়াড়রা থাকে। ইংল্যান্ডে তো স্পিন উইকেট ছিল না। চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব নিজে ভালো করা যায়। কারণ বিশ্বকাপে অনেক ভালো উইকেট থাকে। নিজেকে মানসিকভাবে ওইভাবে তৈরি করেছিলাম যে, যদি উইকেট নাও পাই, ব্যাটসম্যান যেন আমাকে মারতে না পারে, আমার উপর প্রভাব খাটাতে না পারে। যেন দলের প্রয়োজনে যেকোনো সময় রান চেক দিয়ে দুই-একটা উইকেট বের করতে পারি। ওই চেষ্টা করেছি। কয়েক ম্যাচে হয়েছে। সাউথ আফ্রিকা ম্যাচে হয়েছে, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের সাথেও ২ উইকেট করে পেয়েছি। ছোট ছোট জিনিসই অনেক সময় পার্থক্য গড়ে দেয়। সেগুলো নিয়েই চিন্তা করেছিলাম।’