চট্টগ্রামের ফ্ল্যাট উইকেটে নিষ্প্রাণ ড্রয়ে শেষ হয়েছে প্রথম টেস্ট। সিরিজ ঘরে তুলতে মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে তাই বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা উভয়ের চোখ স্রেফ জয়ে। মরিয়া শ্রীলঙ্কা শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের অতীত পরিসংখ্যান ঘেঁটে শক্তিশালী একাদশ সাজাবে বলছে।
সফরকারী দলের কোচ ক্রিস সিলভারউড ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে জানালেন এমনটাই। লঙ্কান ইংলিশম্যান কোচ বলছেন, বাংলাদেশের লক্ষ্যও একই থাকায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখতে চলেছে ঢাকা টেস্ট।
‘আমরা প্রতিটি মাঠে অতীতে কি ফলাফল পেয়েছি, বোলিং আক্রমণভাগ কেমন ছিল এবং ব্যাটিং লাইন আপ কেমন ছিল— এসব পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখি। আমরা ইতিহাস বিবেচনায় এনে দল বাছাই করি। আমাদের সম্ভাব্য বারোজন ভেবে রাখা আছে। কিন্তু এখনই সেটি বলছি না।’
মিরপুরের টার্নিং এবং মন্থর উইকেটে আগে খেলা তিন টেস্টের সবকটিতেই সফল শ্রীলঙ্কা। শেরে-ই-বাংলায় ২০০৮ সালে ১০৭ রানের জয় তুলেছিল তারা। ২০১৪ সালে এক ইনিংস ও ২৪৮ রানের ব্যবধানে জয় এবং শেষবার ২০১৮ সালে খেলা ম্যাচেও ২১৫ রানের একপেশে জয় তুলেছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিচারে যদিও বাংলাদেশকে সমীহই করছেন সিলভারউড। জয় তুলতেও আত্মবিশ্বাসী থাকছেন।
‘ঢাকা টেস্ট অনেক সহজ হবে বলে মনে করি। দুই দলই চাচ্ছে ম্যাচ জিততে। শেষ ম্যাচে কঠিন লড়াই জমেছিল। জয়ের পাল্লা দুদলের দিকেই দুলছিল, কখনও খুব দ্রুত। বাংলাদেশ একসময় আমাদের রশিতে টান দিয়েছিল। আমরা খেলায় ফিরেছি তা নিশ্চিত করতে কঠোর লড়াই করতে হয়েছে। এই টেস্টেও একই হবে। খেলা আরও দ্রুত গতিতে এগোবে। এজন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কিছু রোমাঞ্চকর ক্রিকেটের অপেক্ষায় আছি।’
একাদশ নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে না চাইলেও একাদশে পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন লঙ্কান কোচ, ‘চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে। পরিসংখ্যান ঘেঁটে একাদশ নির্বাচন করব, যেখানে নিশ্চিত হবে আমরা একজন পেসার খেলাচ্ছি কিনা। যাই হোক না কেনো পরে সিদ্ধান্ত নেবো।’
সোমবার সকাল দশটায় মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।