বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি ও মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাতের খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে আপিল দুটি উপস্থাপনের পর তা শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়।
সেসময় আদালতে মিন্নির পক্ষে যুক্ত ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম ও নাজমুস সাকিব। আর সিফাতের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী বদিউজ্জামান তরফদার।
গত ১৩ অক্টোবর আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মো. হাসান ও মো. রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়ের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেম হাইকোর্ট। আর গত ৬ অক্টোবর মিন্নি মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে স্ত্রী আয়শার সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনার পর রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয় পুত্রবধূ মিন্নিকে।
মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড ওই বছরের ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
এরপর মামলার তদন্ত নাটকীয় মোড় নেয়। মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ি থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনসে ডেকে নিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আলোচিত এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা থানার তৎকালীন পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর মিন্নিসহ ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন। তার মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে মিন্নিকে ৭ নম্বর আসামি করা হয়।
সেই প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিচার শুরু হয় বরগুনা জেলা ও দায়রা আদালতে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।