সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় তাদের দুই সন্তানের বক্তব্য শিশু আইন মেনে মাগুরা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মিতু হত্যা মামলায় তার দুই সন্তানকে শিশু আইন মেনে বক্তব্য নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।
আজ আদালত তার আদেশে বলেছে, শিশু আইনের বিধান অনুযায়ী দুই সন্তানের বক্তব্য মাগুরা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, একজন নারী পুলিশ সদস্য এবং শিশুদের দাদা উপস্থিত থাকবেন। আর আদালতের এই আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়টি আগামী ২৬ জুলাইয়ে মধ্যে হাইকোর্টকে জানাতে বলা হয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে নগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন মাহমুদা খানম। সে ঘটনায় তার স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই গত বছরের ১২ মে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৪ অক্টোবর আদালতে নারাজি আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী। গত ৩ নভেম্বর আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ না করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুনানি শেষে বাবুলকে স্ত্রী খুনের এই মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখান।
এরপর গত ১২ মে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাবুল আক্তার বর্তমানে ফেনী কারাগারে রয়েছেন।