‘যুদ্ধের মাঠ কিংবা দেশ গঠন সব কিছুতেই প্রয়োজন গণমাধ্যম। গণমাধ্যমের সাহায্য ছাড়া রানা প্লাজার মতো দুর্যোগ জয় করা কখনোই সম্ভব হতো না। এজন্য মিডিয়া এবং মিলিটারির যোগাযোগ খুব বেশি প্রয়োজন।’ চ্যানেল আই কার্যালয় পরিদর্শনে এসে এমন মন্তব্য করেন লেফট্যানেন্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) তার নেতৃত্বে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ২০১৬’র প্রতিনিধি দল চ্যানেল আই কার্যালয় পরিদর্শন করে।
প্রতিনিধি দলে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্রুনাই, মিশর, ভারত, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা। মতবিনিময়ে গণমাধ্যমের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন ছিল দেশি-বিদেশি সামরিক কর্মকর্তাদের।
প্রতিনিধি দলের একজন প্রশ্ন করেন, সাম্প্রতিক ও সত্যিকারের খবর প্রকাশে আপনারা কোনো সমস্যা অনুভব করেন কি? করলে সেটা কী ধরনের সমস্যা? জবাবে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, কখনো কোনো নিউজের জন্য আমাদের ‘স্যরি’ বলতে হয়নি। চ্যানেল আই সবসময় সঠিক খবরটিই প্রকাশ করেছে। এটাই আমাদের প্রতিষ্ঠান ও নিউজ চ্যানেলের স্বার্থকতা।
দেশের গণমাধ্যম এখন অনেক শক্তিশালী বলে মনে করেন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা।
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট লেফট্যানেন্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী বলেন, গণমাধ্যম এখন শক্তি। জাতীয় শক্তির একটি অংশ গণমাধ্যম। এটিকে সংসদ বলা যায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, মিডিয়ার সাপোর্ট ছাড়া কোনো ব্যক্তি, ব্যক্তি হয়ে উঠতে পারে না। যুদ্ধ হোক বা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সবখানেই গণমাধ্যমের সহায়তা প্রয়োজন। রানাপ্লাজা ধ্বংসযজ্ঞের সময়ও যদি মিডিয়ার সাপোর্ট না পেতাম তাহলে আমরা হয়তো কিছুই করতে পারতাম না। দেশ ও দেশের বাইরে খবর সংগ্রহেও মিডিয়ার ভুমিকা অনস্বীকার্য।
সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তারা চ্যানেল আই সংবাদ, হৃদয়ে মাটি ও মানুষ, প্রকৃতি ও জীবন এবং স্বর্ণকিশোরী’র মতো জনসচেতনামূলক আরো বাড়ানোর সুপারিশ করেন।