তামিম প্রতিদিন উদ্ধার করবেন না। কিংবা প্রতিদিন ভিত গড়বেন না সাকিবও। ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে এই ‘সত্যে’র মুখোমুখি বাংলাদেশ। পাঁচ ওভারের ভেতর তিন উইকেট ছিল না। পরে গেছে আরও একটি। মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের সামনে সুযোগ দলকে টেনে তোলার।
ওপেনার বিজয় এদিন রানের খাতা খোলার আগেই পথ ধরেন। তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে সুরঙ্গা লাকমাল তাকে বোল্ড করেন। আগের তিন ম্যাচে যথাক্রমে ১৯, ৩৫ এবং ১ করেছিলেন। এরপর রানআউট হন ইনফর্ম ব্যাটসম্যান সাকিব (৮)।
তিন ম্যাচে টানা অর্ধশতক করা তামিম এদিন ৫ রান করে ফেরেন। লাকমালের বলে গুনাথিলাকার হাতে ক্যাচ দেন।
রিয়াদ ফিরেছেন দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে। লাকমালের পরিষ্কার ফাঁদে পা দেন। ডিপফাইন লেগে ফিল্ডার রেখে শট বল করেন। রিয়াদ (৭) পুল করতে যেয়ে সেখানেই ক্যাচ তুলে দেন! মুশফিকের সঙ্গে তার জুটি ১৮ রান পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
শ্রীলঙ্কা এদিন হারলে কত ব্যবধানে হারছে সেটির ওপর নির্ভর করে ফাইনালের হিসাব-নিকাশ হবে। জিতলে ২৭ ফেব্রুয়ারির ফাইনালে সরাসরি বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ তারা।
ত্রিদেশীয় সিরিজে তিন ম্যাচে একটি করে জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ তিনটি।
বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ উইকেটে জয় পায়। শ্রীলঙ্কা আবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২ রানে হেরে যায়। শ্রীলঙ্কা নিজেদের পরের ম্যাচেও বাংলাদেশের বিপক্ষে হারে। এরপর নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এসে জিম্বাবুয়েকে হারাতে সক্ষম হয় তারা। পরের ম্যাচে জিম্বাবুয়ে আবার বাংলাদেশের কাছে হেরে যায়। যার কারণে এখনো ত্রিদেশীয় সিরিজে টিকে আছে হাথুরুবাহিনী।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা (অধিনায়ক), মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, আবুল হাসান রাজু।