পরীক্ষামূলকভাবে গলদা চিংড়ি চাষে সাফল্য অর্জন করেছে কুড়িগ্রামের সরকারি মৎস্য খামার। মিঠা পানিতে গলদা চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুরের কচুয়ায় চিংড়ি হ্যাচারীতে গলদা চিংড়ির পোনা উৎপাদন কার্যক্রম চলছে।
কুড়িগ্রাম সরকারি মৎস্য খামারে ২০১৫ সালে পরীক্ষামূলকভাবে মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারে গলদা চিংড়ি চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়। পটুয়াখালীর দুমকি এলাকার পায়রা নদী থেকে মা গলদা চিংড়ি সংগ্রহ করে কক্সবাজার থেকে লোনা পানি এনে চিংড়ি হ্যাচারিতে হ্যাচিং শুরু হয়। আড়াই বছর ধরে নিবিড় গবেষণার পর হ্যাচারিতে ৩৫ দিন বয়সী চার থেকে পাঁচ লাখ রেণু জীবিত পাওয়া যায়।
কুড়িগ্রাম সরকারি মৎস্য খামার ইতোমধ্যে এ খামার থেকে চাষি পর্যায়ে গলদা চিংড়ির রেণু পোণা বিক্রি করা হচ্ছে। চলতি বছর জেলার ৯ উপজেলার মিঠা পানিতে ৯ টন গলদা চিংড়ি চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
মিঠা পানিতে গলদা চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৪-১৫ অর্থ বছর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চাঁদপুরের কচুয়ায় গলদা চিংড়ি পোনা উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়। গত দু’বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উৎপাদন কম হয়েছে। মিঠা পানিতে এবার চার লাখ গলদা চিংড়ির পোনা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
কর্ণফুলি নদী থেকে দেড়শ’টি মা গলদা চিংড়িও আনা হয়েছে। ১১টি স্তরে প্রতিপালনের পর মা চিংড়ি পোনা ছাড়বে। প্রকল্পটি রাজস্ব খাতে নেয়া হলে দেশে মিঠা পানিতে গলদা চিংড়ির চাষ বাড়বে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: