প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫৩তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য তিনদিনের সরকারি সফরে বৃহস্পতিবার রাতে জার্মানির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
জার্মানির বাভারিয়া প্রদেশের রাজধানী মিউনিখে শুক্রবার ১৭ ফেব্রুয়ারি এ সম্মেলন শুরু হবে।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
রাত ১০টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ইতিহাদ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট (ইওয়াই ২৫৩) যোগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ও ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় সংসদের চিপ হুইপ আ স ম ফিরোজ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ সময় বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
জার্মানি যাবার পথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে এক ঘন্টা যাত্রাবিরতি শেষে প্রধানমন্ত্রীর আগামীকাল সকালে জার্মানি পৌঁছার কথা রয়েছে।
মিউনিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাবেন। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সুসজ্জিত মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে মিউনিখ ম্যারিয়ট হোটেলে নিয়ে যাওয়া হবে। জার্মানি সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সেখানেই অবস্থান করবেন।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে যোগ দেবেন। সেখানে আগত অতিথিদের সম্মানে মিউনিখের মেয়র আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী ।
প্রধানমন্ত্রী ১৮ ফেব্রুয়ারি মিউনিখে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেবেন এবং একইদিনে সম্মেলনের প্যানেল আলোচনায় জলবায়ু নিরাপত্তা এবং ‘গুড কপ ব্যাড কপস’ বিষয়ক পর্যালাচনা সভায় যোগ দেবেন ।
সেদিন (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায়ই প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশে মিউনিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন। আবুধাবিতে ৬ ঘন্টার যাত্রাবিরতি শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্থানীয় সময় রাত ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে। এই সফর উপলক্ষে আয়েজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী জানান, বর্তমান বিশ্বের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনায় ‘বেস্ট থিঙ্ক ট্যাঙ্ক কনফারেন্স’ হিসেবে বিবেচিত এই সম্মেলনে বিশ্বের ২০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ যোগ দেবেন।
১৯৬৩ সালে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের যাত্রা শুরু হয়। পাঁচ দশক ধরে এই সম্মেলনে বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রতিবছর ফেব্রুয়ারিতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, মন্ত্রী, আন্তর্জাতিক এবং বেসরকারি সংগঠনসমূহে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি, বিশ্বের ঊর্ধ্বতন নীতি নির্ধারকরা এ সম্মেলনে মিলিত হন। এছাড়া গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজের পদস্থ ব্যক্তিবর্গ নিরাপত্তা সংক্রান্ত বর্তমান ও ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ নিয়ে এতে আলোচনা করেন।