বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষদিকে যৌথবাহিনীর অংশ হিসেবে আত্মাহুতি দিয়েছে দেড় হাজারের বেশি ভারতীয় সৈন্য। গেরিলা প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী।
তাদের একজন অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন সুধাংশু ভূষণ দত্ত। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে নোয়াখালীতে নিজের মায়ের সমাধি আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার দেখার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন প্রায় শতবর্ষী সুধাংশু।
দক্ষিণ কলকাতার নাকতলা এলাকায় সাতচল্লিশ বছর ধরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে জিইয়ে রেখেছেন ক্যাপ্টেন দত্ত। বাংলাদেশেই জন্মেছিলেন তিনি। দেশভাগে এখন ভারতবাসী। জন্ম নোয়াখালীর নোয়াখলা নামক স্থানে।
অনেক খুঁজে ফিরে তার সন্ধান যখন পাওয়া গেলে জলভরা চোখে তার প্রথম জিজ্ঞাসা: কেমন আছে বাংলাদেশ?
হাঁটা চলা করতে পারেন না, কিন্তু মনের জোর এখনো তরুণের মতো। যুদ্ধদিনের কথা মনে করে ঘৃণা জানালেন পাকিস্তান আর্মির বর্বরতার প্রতি। একাত্তরে প্রায় ৭০ লাখ বাংলাদেশী শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছিলো পশ্চিমবঙ্গে, এর মধ্যে ৪০ লাখ কলকাতার সল্টলেকে। সেখানে একটি ক্যাম্পের দায়িত্ব ছিল তার উপর, ওই এক ক্যাম্পেই ছিল দুই লাখ বাংলাদেশী।
বয়সের বাস্তবতায় অনেক কথা জড়িয়ে যায়, কখনো হারিয়ে যায় কথার খেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এই উচ্চারণে কোন জড়তা ছিল না ক্যাপ্টেন দত্তর।
কিছু চাইবার নেই, শুধু একবার নিজের স্বাধীন দেশ হিসেবে নিজের মাতৃভূমিটা দেখার আকুতি জানিয়েছেন ক্যাপ্টেন সুধাংশু ভূষণ দত্ত।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: