প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির অর্থ সরাসরি চলে যাবে শিক্ষার্থীর মায়ের মোবাইল ব্যাংকে। প্রাথমিক ভাবে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু হলেও কয়েক মাসের মধ্যেই সব মায়েরাই নির্দিষ্ট সময়ে পেয়ে যাবেন উপবৃত্তির অর্থ।
ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে উপবৃত্তি কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। ২০০৯ সালে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৮ লাখ ১৫ হাজার ৬শ’ ৩৬ জন। ২০১০ সালে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ৭৮ লাখ ১৭ হাজার। আর এখন প্রাথমিকে উপবৃত্তি পায় ১ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী ।
উপবৃত্তির এই অর্থ পেতে অভিযোগের অন্ত ছিল না। শিক্ষার্থী বেশি দেখিয়ে উপবৃত্তির অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও ছিল। সমস্যা সমাধানে এখন থেকে উপবৃত্তির অর্থ সারাসরি চলে যাবে শিক্ষার্থীর মায়ের মোবাইলে। উপবৃত্তির অর্থ পাঠানোর জন্য রূপালী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফরিদ উদ্দিন বলেন, এতোদন ধরে যেভাবে উপবৃত্তি দেওয়া হতো তা ম্যানুয়াল পদ্ধতি। মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর প্রয়োগ খুব কম ছিল। কিন্তু এখন দ্রুতভাবে এই প্রয়োগগুলো করার সুযোগ আছে। এটা করলে কাজে দ্রুততা আসবে এবং স্বচ্ছতা আসবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, এখন লুকোচুরির কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, আগে আমরা ম্যানুয়ালি টাকাটা দিতাম, সেখানে ক্রুটি থাকত। এখন যে বাচ্চাকে উপবৃত্তি দেওয়ার কথা তার অভিভাবককে সরাসরি হাতে টাকাটা তুলে দিতে পারব। প্রযুক্তির মাধ্যমে জুলাইয়ের মধ্যে আমরা সকল শিক্ষার্থীদের টাকা অভিভাবকদের তুলে দিতে চাই।
মন্ত্রী বলেছেন, উপবৃত্তির অর্থ প্রদানে স্বচ্ছতা আনতে ভবিষ্যতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব ধরনের সেবাখাত ডিজিটালাইজড করা হবে।