চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মাহমুদউল্লাহর আক্ষেপ

আগের ম্যাচের মতোই ৭২ রানে অপরাজিত থাকলেন। তবে মুশফিকের এদিন আর ‘নাগিন নাচ’ নাচা হল না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের ম্যাচে ইতিহাস গড়া জয় পাওয়া বাংলাদেশ পেরে উঠেনি ভারতের সঙ্গে। ১৭ রানে ম্যাচ হাতছাড়ার পর সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠে তাই আক্ষেপ, মুশফিকের মতো করে আর কারও জ্বলে উঠতে না পারার।

‘বোলিংয়ের শুরু ভাল হয়েছিল, প্রথম ৮-১০ ওভার। শেষদিকে ২-৩টি ওভারে বেশি রান হয়েছে। সেখানে ১০টি রানও কম দিতে পারলে হয়তবা ভাল হতো। ব্যাটিংয়েও ১৬০ রানের মধ্যে মুশির একাই ৭২। শুরুর দিকে আরেকজন ভাল করতে পারলে হয়ত ব্যবধান গড়া যেত। সেটি আমরা পারিনি।’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২১৫ রান তাড়া করার ম্যাচে তামিম-লিটনের পর জ্বলে ওঠেন মুশফিক। তবে বুধবার কেবল মুশফিকের ব্যাটেই দেখা গেছে ধারাবাহিকতা। মাহমুদউল্লাহ মনে করেন টপঅর্ডারে আরেকজন জ্বলে উঠলে এদিন ১৭৭ রান তাড়া করা সম্ভব হত।

‘ওই রান তাড়া করার মতই ছিল। আমার বিশ্বাস ছিল আমরা পারব। কিন্তু মুশি ছাড়া আর কেউ ভাল করতে পারেনি। তামিম যদিও দ্রুত রান নিয়ে শুরু করেছিল, কিন্তু আরেকজন যদি দ্রুত একটা ২৫-৩০ রানের ইনিংস খেলতে পারত, তাহলে অন্যরকম হত।’

আগের ম্যাচের মতো উইকেট অতটা ব্যাটিং সহায়ক ছিল না। মন্থর উইকেটে দরকার ছিল দায়িত্বশীল ব্যাটিং। কিন্তু টপঅর্ডারের ব্যর্থতায় শুরুতেই নিয়ন্ত্রণ হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তামিম ১৯ রান তুলে রানরেট বাড়িয়ে দেন। লিটন, সৌম্যকে হারানোর পর তামিমকে ঘিরেই ছিল বড় আশা। ১৯ বলে ২৭ রান করা তামিম দলীয় ৪০ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরে গেলে জয়ের আশা মিইয়ে আসতে থাকে।

প্রথম তিন ব্যাটসম্যান আউট হন পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারের মধ্যে। অফস্পিনার ওয়াশিংটন সোন্দরের বলে। আউটের ধরণ ছিল দৃষ্টিকটু। ত্রয়ীর বিদায়ের পর প্রয়োজনীয় রানরেট ধরে রাখতে ব্যর্থ হন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাহমুদউল্লাহ যখন বিদায় নেন, তখন দলের সংগ্রহ ৮.৪ ওভারে ৬১। সেখান থেকেও ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। মুশফিকের সঙ্গী হয়ে সাব্বির প্রাণপণে লড়ে যান। তবে ভারতের কৌশলী বোলিংয়ের সামনে হাত খুলে মারতে পারেনি টাইগাররা। পরে মুশফিকের লড়াইয়ে সঙ্গী হতে পারেননি অপরপ্রান্ত থেকে চালিয়ে খেলার মত কেউ।

শুক্রবার স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ‘অঘোষিত’ সেমিফাইনাল খেলতে নামবে বাংলাদেশ। যারা জিতবে তারাই কাটবে ভারতের বিপক্ষে নিধাস ট্রফির ফাইনাল খেলার টিকিট।