চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

মাস খানেকের ভেতর হলি আর্টিজান মামলার চার্জশিট: ডিএমপি কমিশনার

মাস খানেকের ভেতর হলি আর্টজান মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, তাড়াহুড়ো করে একটা জিনিসকে নষ্ট করার চাইতে একটু সময় নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় অকাট্য যুক্তি সহকারে একটি চার্জশিট দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে ঈদ উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, মামলার তদন্ত একটি জটিল প্রক্রিয়া। একটি অভিযোগ যখন আদালতে যায়, সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কার কার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে সেটা প্রমাণ করার জন্য সারকামুটেন্স এভিডেন্স, ফিজিক্যাল এভিডেন্স, সাইয়েন্টিফিক এভিডেন্সের প্রয়োজন হয়। হলি আর্টিজানের ঘটনা দেশের বিরুদ্ধে ছিল, কোনো সাধারণ অপরাধ ছিল না জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন: এ ঘটনায় সঙ্গে বহু লোক বহু উদ্দেশ্য নিয়ে জড়িত ছিল। তাদের প্রত্যেকের অপরাধকে খুঁজে বের করা, প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব উদ্দেশ্য স্বার্থ, তাদের একটিভিটিজ কি ছিল সেটা আলাদা আলাদা করে শণাক্ত করা, এরপক্ষে যুক্ত তর্ক উপস্থাপনের জন্য তথ্য যোগাড় করা হয়। সেক্ষেত্রে কোন মামলা বেশি সময় লাগে বা কম সময় লাগে।

তিনি বলেন, হলি আর্টিজানে যারা অভিযান করেছে এর পেছনে কারা রয়েছে, কারা মদদ দিয়েছে, ঘর ভাড়া দিয়েছে, কারা অস্ত্র দিয়েছে তাদের ইতিমধ্যেই আমরা শণাক্ত করেছি। এরমধ্যে এনকাউন্টারে কেউ মারায় গেছে। বাকি যারা আছে তাদের উপযুক্ত শাস্তির বিধান করার জন্য অকাট্য সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করা প্রয়োজন। যা একেবারেই শেষ পর্যায়ে রয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মাস খানেকের মধ্যে হলি আর্টিজানের চার্জশিট দেওয়া হবে।

কোন সাক্ষ্য প্রমাণের ঘাটতি আছে কিনা জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন: এসব ক্ষেত্রে আমরা ভালো অপরাধ আইনজীবির সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকি,প্রসিকিউটরদের সঙ্গে পরামর্শ করে থাকি। এটা একটা দীর্ঘ মেয়াদি প্রক্রিয়া, তাড়াহুড়ো করে একটা জিনিস নষ্ট করতে চাইতে একটু সময় নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় অকাট্য যুক্তি সহকারে একটি চার্জশিট হবে। অপরাধীরা শাস্তি পাবে মানুষ এটাই চায়। তবে এখন তারিখ ও দিনক্ষণ বলতে পারব না। এ মামলার তদন্তকালে কোথাও বাধাগ্রস্ত হতে হয়নি। সবার সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছি।

এর আগে টার্মিনালে ঈদ উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, বলার মতো উল্লেখযোগ্য কোনো অপরাধ এখন পর্যন্ত রমজানে ঘটেনি। যা ঘটেছে তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা, সেটা আমরা দ্রুতই সমাধান করেছি।কোন প্রকার ছিনতাই, মলম পার্টি দৌরাত্ম ছিল না।

তিনি বলেন মহানগরীতে কোন চাঁদাবাজি বরদাস্ত করা হবে না, ভুয়া পুলিশ, ভুয়া ডিবি সেজে অপরাধ করার বিষয়ে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারিতা রয়েছে।বড় বড় শপিং মলে সেহরি পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে, কোথাও কোন অপরাধের ঘটনা ঘটছে না।

ঈদের পর বন্ধের সময়ও নিরাপত্তায় পুলিশি ব্যবস্থা জোরদার থাকবে বলেও জানান তিনি।