চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

মাস্কের সেন্সর শনাক্ত করবে করোনা!

সেন্সরসহ বিশেষ মাস্ক ব্যবহারে মাত্র ৯০ মিনিটে আপনার শ্বাস প্রশ্বাসে করোনাভাইরাস রয়েছে কিনা তা সহজেই নির্ণয় করা যাবে।

অবাক হচ্ছেন! সত্যিই তাই, সেন্সর-সহ বিশেষ এক ধরনের মাস্ক আবিষ্কার করেছেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাদের মাস্কটি ৯০ মিনিটের মধ্যে জানিযে দেবে মাস্ক ব্যবহৃত মানুষটি করোনায় আক্রান্ত কিনা।

সম্প্রতি নেচার বায়োটেকনোলজি নামের একটি জার্নালে তাদের আবিষ্কারের খবর প্রকাশিত হয়। তাতে ওই মাস্কের নকশা সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে।

জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধে দাবি করা হয়েছে, বিশেষ ধরনের এই কেএন৯৫ মাস্কে একটি খুব ছোট এবং একবার  ব্যবহারযোগ্য সেন্সর রয়েছে ৷ যা সহজেই অন্য যে কোনও মাস্কের সঙ্গে আটকে নেওয়া যেতে পারে এবং সেটি করোনা-সহ অন্যান্য ভাইরাসকেও শনাক্ত করতে পারে।

গবেষকদের দাবি, তাদের তৈরি এই সেন্সরটি শুধুমাত্র মাস্কের সঙ্গেই নয়, বরং বিভিন্ন ধরনের পোশাক, যেমন গবেষণাগারে ব্যবহৃত কোটের সঙ্গেও আটকে ব্যবহার যেতে পারে। এর ফলে এই সেন্সর বা বিশেষ মাস্কটির মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্যের উপরও নিয়মিত নজর রাখা সম্ভব হবে। তাদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে দ্রুত তা চিহ্নিত করে তাদের বাকিদের থেকে আলাদা করে দেওয়া এবং সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হবে।

ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) অধ্যাপক ও সংশ্লিষ্ট গবেষকদলের সদস্য জেমস কলিন্স তাদের আবিষ্কার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জানান, ‘‘প্রচুর পরিমাণে সিন্থেটিক বায়োলজি সেন্সরকে আমরা ঠাণ্ডায় জমিয়ে বা শুষ্ক করে রাখতে পারি, তা আমরা ইতিমধ্যেই করে দেখিয়েছি। এই সেন্সরগুলি সহজেই ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার নিউক্লিক অ্যাসিডকে চিহ্নিত করতে পারে। এছাড়া, যেকোন ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিককে (নার্ভ টক্সিন-সহ) এই সেন্সরের মাধ্যমে চিহ্নিত করা সম্ভব।’’

অধ্যাপক জেমসের আশা করছেন আগামী দিনে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে এই ধরনের সেন্সর-সহ মাস্ক ব্যবহার করা হবে।

তিনি বলেন, মাস্ক ব্যবহারকারী নিজেই এই সেন্সরটি চালু করে নিতে পারবেন। যখন তার প্রয়োজন হবে, তখনই তিনি এই সেন্সরটি ব্যবহার করতে পারবেন এবং পরীক্ষার পর তার ফল শুধুমাত্র এর ভিতরের অংশেই দেখা যাবে। মাস্ক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ২০২০ সালের প্রথমের দিকেই পোশাকের সঙ্গে পরার মতো সেন্সর তৈরির কাজ শেষ করে ফেলেছিলেন তারা। ইতিমধ্যে গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস আর তারপরই এই ধরনের সেন্সর ব্যবহার করে ভাইরাসকে চিহ্নিত করার গবেষণা শুরু করেন তারা।