তামিম নামবেন কী নামবেন না, শেষদিকে এই দোটানায় ছিল গোটা ড্রেসিংরুম। তখন এগিয়ে আসেন কাপ্তান মাশরাফী। বারবার কথা বলতে থাকেন তামিমের সঙ্গে। সেই কথায় সাহস বেড়ে যায় আহত ওপেনারের। মুশফিক স্ট্রাইকে না থাকলেও একসময় নেমে পড়েন মাঠে।
ম্যাচ শেষে তামিম একটি ইংরেজি দৈনিককে বলেন, ‘মাশরাফী ভাই আত্মবিশ্বাস দিয়েছিলেন। বারবার আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন। গ্লাভস কেটে তিনিই প্লাস্টার করা হাতে ঢোকানোর ব্যবস্থা করেন।’
শনিবার দুবাইয়ে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে চোট পান তামিম। সুরাঙ্গা লাকমলের বাউন্সার পুল করতে যেয়ে বাঁ-হাতের গ্লাভসে বল লাগান। পরে জানা যায় বাঁ-কব্জির ওপরে বৃদ্ধাঙ্গুলির জোড়ায় চিড় ধরেছে।
বাংলাদেশ শুরুতে জোড়া ধাক্কার শিকার হলেও মিঠুন-মুশফিক ১৩১ রানের জুটি গড়ে দলকে পথে রাখেন। কিন্তু শেষ দিকে স্কোর বড় হচ্ছিল না। তামিম ততক্ষণে হাসপাতাল থেকে ফিরে এসেছেন। সিদ্ধান্ত হয়, মোস্তাফিজ আউট হওয়ার পর মুশফিক স্ট্রাইকে থাকলে তামিম মাঠে নামবেন। কিন্তু ফিজ এমন সময় আউট হন, তখন ওভারের একটি বল বাকী। ওই সময় ঝুঁকি নিয়ে তামিমের এক বল খেলার কথা ছিল না। কিন্তু তামিম নিজে থেকে মাঠে যেতে রাজি হন।
‘মোস্তাফিজ আউট হওয়ার পর দেখি মুশফিক ননস্ট্রাইকে। তখন সিদ্ধান্তটা আমার উপরে চলে আসে। আমি এক বল খেলতে চলে যাই,’ বলেন তামিম।
তামিমের এমন সাহসের দিনে মুশফিক ১৫০ বলে ১৪৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে ২৬১ রানের সংগ্রহ এনে দেন। বাংলাদেশ জয় পায় ১৩৭ রানে।