খালেদ মাহমুদ সুজন যখন জাতীয় দলে খেলেন, তখন পেস বোলিংয়ে স্থানীয় ‘আইডল’ ছিল না। যাদের দেখে উদ্বুদ্ধ হওয়া যায়, শেখা যায়। তবে এ প্রজন্মের পেসারদের সুযোগ অবারিত। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার মতো আইডল চোখের সামনেই। ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বিকেলে এসেও নড়াইল এক্সপ্রেস যেভাবে পারফর্ম করে চলেছেন তা দেখে নতুনদের প্রায়ই শিখতে বলেন মাহমুদ। কতটা শিখছেন ক্রিকেটাররা? একটা উত্তর পাওয়া গেল এই প্রজন্মের কামরুল ইসলাম রাব্বির কাছে।
‘মাশরাফী ভাইকে যখন আমরা পাই, জানি না কে কীভাবে নেয়। আমি অফকাটার পুরোই মাশরাফী ভাইয়ের কাছে শিখেছি। তিনি নতুন এবং পুরনো বলে অনেক ভাল অফকাটার দিতে পারেন। আমার মনে হয় প্রত্যেক বোলারই যখন মাশরাফী ভাইকে পায়, কিছু শেখার তো অবশ্যই চেষ্টা করে। অবশ্যই তিনি বাংলাদেশের পেস বোলারদের আইডল।’
সাম্প্রতিক সময়ে পেস বোলিংয়ে বাংলাদেশের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়েছে। প্রতিটি সিরিজের আগে কিংবদন্তি পেসার কোর্টনি ওয়ালশের অধীনে পুরোদমে পেস বোলিং ক্যাম্প হলেও মাঠে দেখা যায় না তার প্রয়োগ। সমস্যা আসলে কোথায়? রাব্বির মতে, আত্মবিশ্বাসে ঘাটতিই অন্য দলগুলোর পেসারদের সঙ্গে গড়ে দেয় বড় পার্থক্য।
‘আমি মনে করি এখানে সব কিছুই নির্ভুলভাবে করছি। ইয়র্কার বলেন, অফকাটার বলেন, সব কিছুই ভাল হচ্ছে। মাঠে কীভাবে প্রয়োগ করবো এটাই বড় ব্যাপার। আমি মনে করি আমরা যারা পেস বোলার আছি, তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। আমরা মাঠে হয়তো কনফিডেন্টলেস থাকি। হবে কী হবে না, সংশয়ে থাকি।’
‘বাইরের দেশের পেস বোলাররা এদিক থেকে অনেক আগানো। ওরা সবসময় ইতিবাচক থাকে। যখনই দেশের বাইরে খেলতে যাই, আমি ওদের কাছে ভাল বোলিংয়ের মন্ত্র জানতে চাই। মাশরাফী ভাইয়ের কাছেও জানতে চেয়েছিলাম। তিনি বলেছেন আত্মবিশ্বাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’ বলেন রাব্বি।