চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

মাশরাফীর বুলি আউড়ে তামিমের বাজিমাত

‘আমি জিতব, আমি জিতব’ -ম্যাচ খেলতে নামলে মনে মনে এই বুলিটি আওড়ান মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। যেটি অনুসরণ করে বিপিএলের মঞ্চে সফল তামিম ইকবাল। ফাইনালে অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে শিরোপা এনে দেয়া এ বাঁহাতি ওপেনার ম্যাচ শেষে জানালেন সে কথা।

বিপিএলের ফাইনালে ক্রিস গেইল ছিলেন না, কিন্তু এই ক্যারিবিয়ানের মতোই তাণ্ডব দেখা গেছে তামিমের ব্যাটে। শুরুতে ধীরগতিতে রান তুলতেও শেষে ঝড় তুলে ক্রিজ ছাড়েন ৬১ বলে ১৪১ রানে অপরাজিত থেকে। দলীয় বড় পুঁজি তুলে ফিল্ডিংয়ে নেমে নেন দুর্দান্ত দুটি ক্যাচ। ব্যবধান তৈরি হয়ে যায় তাতেই। ঢাকা ডায়নামাইটসকে ১৭ রানে হারিয়ে বিপিএলে শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার করার পর তামিম সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, সফলতার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে ওয়ানডে অধিনায়কের ইতিবাচক এই ব্যাপারটি।

‘সত্যি কথা বলতে আমি খুব চিন্তিত ছিলাম। মাঠে মাশরাফী ভাইয়ের ট্যাকটিস কাজে লাগাচ্ছিলাম। উনি সবসময় একটা জিনিস বলেন- আমি জিতব, আমি জিতব। জানি না ওনার মনে কী থাকে, কিন্তু সবসময় বলেন আমি জিতব, আমি জিতব, আমি জিতব। পুরো বিপিএলে আমার এই ট্যাকটিসটাই ছিল। ওনার কাছ থেকেই কপি করা বলতে পারেন।’

‘বিপিএলের প্রথম দিন থেকে আজকের দিন পর্যন্ত আমি বলে আসছি; আমরা জিতব, আমরা জিতব। যেটা দরকার ছিল, আমি চেয়েছি একা হলেও মনেমনে একটা ইতিবাচক অনুরণন ছড়াই। আমার মন তো ওরা (প্রতিপক্ষ দল) পড়ছে না। সত্যি কথা আমি কখনোই চিন্তা করিনি এমন ইনিংস খেলবো। আমি খুব ভালো পরিকল্পনা করে ব্যাটিং করতে পেরেছি।’ শিরোপা জিতে তামিমের সোজাসাপ্টা বয়ান।

শুধু ফাইনালেই নয়, শুরুর কিছু ম্যাচ বাদ দিয়ে বাকি বিপিএলে দেখা গেছে তামিমের ব্যাটে ধারাবাহিকতা। কুমিল্লার হয়ে এক সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটিতে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান (৪৬৭) করা ক্রিকেটার বাংলাদেশের এ ওপেনার। আত্মবিশ্বাস নিয়েই শনিবার সকালে চড়তে পারবেন নিউজিল্যান্ডগামী বিমানে। সেখানে কিউইদের বিপক্ষে টাইগাররা খেলবে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ।