ফুটবলার, হকি ও বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের হাঁটুর এন্টেরিয়র ক্রসিয়েট লিগামেন্ট (এসিএল) ছিঁড়ে যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা! তবে ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে এ ধরণের ইনজুরি খুবই কম। বাংলাদেশ দলে খেলা ক্রিকেটারদের মধ্যে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এমন ইনজুরিতে পড়লেন নাসির হোসেন।
২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে হাঁটুর এন্টেরিয়র ক্রসিয়েট লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায় মাশরাফীর। ৯ বছর পর ফিরে এল তেমনি এক ইনজুরি। এবার নাসিরের। তবে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে নয়; নাসিরের লিগামেন্ট ছিঁড়েছে ফুটবল খেলার সময়!
যদিও বিসিবি বলছে ফিটনেস ট্রেনিং করতে গিয়ে। তবে নাসিরের নিটকজন সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জে বন্ধুর বিয়ের দাওয়াত খেতে গিয়ে ফুটবল খেলার সময় ডান হাঁটুতে চোট পান এ ক্রিকেটার।
কীভাবে চোট পেয়েছেন সে প্রসঙ্গ নিয়ে ব্যাখ্যায় যেতে চাননি বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীও। তবে জানালেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে এ ধরনের ইনজুরিতে পড়া প্রায় ১০-১২জন ক্রিকেটার অস্ত্রোপচারের পর আবারও খেলায় ফিরতে পেরেছেন। নাসিরের জন্য এখন তারাই অনুপ্রেরণা। সঙ্গে বড় অনুপ্রেরণা তো মাশরাফীই। হাঁটুতে সাত অস্ত্রোপচার নিয়েও দুর্দান্ত খেলে চলেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক।
মঙ্গলবার বিসিবি কার্যালয়ে দেবাশীষ চৌধুরী বললেন, ‘হকি, বাস্কেটবল, ফুটবলে জাতীয় দলের অনেকেই এসিএল ইজুরিতে পড়েছে, তারা আবার খেলায় ফিরেছে। ভাল অপারেশন হলে আবার ফিরে আসতে পারে। ক্রিকেটারদের মধ্যে এমন ইনজুরি কম। মাশরাফীর পর জাতীয় দলে এসিএল ইনজুরি নেই। ‘এ’ টিমে, ফাস্ট ক্লাস ক্রিকেটে অনেকেই পড়েছে। মাশরাফীর পর নাসির। এর মাঝের সময়ে ঘরোয়াতে ১০-১২ জনের মতো অপারেশন হয়েছে, সবাই খেলায় ফিরে এসেছে।’
দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাসিরের হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করা হবে বলেও জানালেন দেবাশীষ। অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হওয়ার পরে অন্তত ৬ মাস নাসিরকে থাকতে হবে মাঠের বাইরে।