টি-টুয়েন্টি সংস্করণে নিজের সেরা বোলিংটাই মঙ্গলবার করেছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। বিপিএলের মঞ্চে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে ১১ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। তবুও সেরার তালিকায় এই পারফরম্যান্সকে রাখছেন না নড়াইল এক্সপ্রেস। তার কাছে আন্তর্জাতিক ম্যাচের বাইরে অন্যসব প্রাপ্তির গুরুত্ব যে কম!
দারুণ বোলিংয়ের পর সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছেড়ে রংপুর অধিনায়ক সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘আমি সবসময় আন্তর্জাতিক ম্যাচ কাউন্ট করি। আন্তর্জাতিক ম্যাচের গুরুত্ব আরও বেশি থাকে। বিশেষভাবে কাউন্ট করার কথা যদি বলেন, শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ম্যাচ কাউন্ট করি। এসব ম্যাচ (আন্তর্জাতিক ম্যাচের বাইরে) শতভাগ দিয়ে খেলি, আন্তর্জাতিক ম্যাচ যেভাবে শতভাগ দিয়ে খেলি। আর বিশেষভাবে শুধু আন্তর্জাতিক ম্যাচের পারফরম্যান্স হিসেবে ধরতে চাই।’
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সন্ধ্যার ম্যাচে তারকায় ঠাসা কুমিল্লার ব্যাটিং লাইনআপকে শুরু থেকেই বোতলবন্দী করে রাখেন মাশরাফী। প্রথম সারির চার ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠিয়ে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে রাখেন। অন্য বোলাররাও উইকেট দখলের মিছিলে যোগ দিলে মাত্র ৬৩ রানে গুটিয়ে যায় হেভিওয়েট দলটি। পরে ক্রিস গেইলের একমাত্র উইকেটটি হারিয়ে ১২ ওভারে জয় নিশ্চিত করে রংপুর।
মূলত ম্যাচের শুরুতেই দারুণসব কাটারে একাই খেলা নিজেদের করে নেন রংপুর অধিনায়ক। সব ধরণের টি-টুয়েন্টি মিলে সেরা পারফরম্যান্স উপহার দেন মাশরাফী। প্রথমে ফেরান কুমিল্লার ওপেনার তামিম ইকবালকে। পরে একে একে তাকে উইকেট দিয়ে ফেরেন এভিন লুইস, ইমরুল কায়েস, স্টিভেন স্মিথ। চার উইকেটের মধ্যে শুরুর উইকেটটিই এগিয়ে রাখছেন মাশরাফী।
‘তামিমের উইকেট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তামিম আমার বল সবসময়ই ভালো খেলে। সব ধরনের ক্রিকেটেই আমার বিপরীতে তামিমের স্ট্রাইকরেটও অনেক ভালো থাকে। ওর উইকেটটা অবশ্যই মানসিকভাবে অনেক ইতিবাচক করেছে। ওই উইকেট পাওয়াতে আত্মবিশ্বাস এসেছে। স্মিথ-লুইস কতটা ভালো ব্যাটসম্যান সেটা তো সবাই জানে। তবে আমার ক্ষেত্রে তামিমের উইকেট গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
‘উইকেটে বল হিট করেছি অনেক জোরে। প্রথম ওভার থেকে মনে হচ্ছিল ঠিক জায়গায় হিট করলে ভালো হবে। আমরা সবাই ঠিক জায়গায় বল করতে পেরেছি।’ দিনশেষে সেরা পারফরম্যান্সের মূল্যায়নে সতীর্থদের মধ্যে এভাবেই কৃতিত্ব ভাগ করে দিলেন মাশরাফী।