ইনসেপ্টা রংপুর রেঞ্জার্সের হারানোর কিছু ছিল না। সেরা চারের স্বপ্ন তো আগেই শেষ হয়ে গেছে, জিতলে অবশ্য বাড়তি একটা জয় জমিয়ে আসর শেষ করা তুষ্টি। সেখানে ঢাকা প্লাটুনের পাওয়ার ছিল অনেককিছু। সেরা চার নিশ্চিত হয়ে গেছে। এলিমিনেটরের ঝামেলা এড়িয়ে শীর্ষ দুইয়ে থাকতে জয়টা বেশ টোটকা হতো মাশরাফীদের। সেটি হয়নি। রংপুর ১১ রানের জয় তুলে নিয়েছে।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রানের সংগ্রহ গড়ে আগেই সেরা চার থেকে ছিটকে যাওয়া ইনসেপ্টা রংপুর রেঞ্জার্স। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৮ পর্যন্ত যেতে পারে ঢাকা প্লাটুন।
জয়ে ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট ঝুলিতে জমিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএল শেষ করল রংপুর রেঞ্জার্স। আপাতত টেবিলের ছয়ে তারা। ঢাকা প্লাটুনের হাতে এখনো এক ম্যাচ আছে গ্রুপপর্বের। ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে তারা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে এনামুল হক বিজয়কে (৫) দ্রুত হারালেও তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান ৪৬ রানের জুটি গড়ে ভিত মজবুত করেন। তামিম ২ চার ও এক ছক্কায় ৩৩ বলে ৩৪, মেহেদী ৩ চারে ধুঁকে ধুঁকে ২৪ বলে ২০ করে ফেরেন।
তামিম-মেহেদীর জুটি ভাঙতেই মুমিনুল হক ১৪ বলে ১৮, থিসারা পেরেরা ১০ বলে ৮, আসিফ আলি ১ ও আরিফুল হক ১ রানে ফিরে ঢাকাকে বিপদে ঠেলেন।
সেখান থেকে লড়াই এগিয়ে নিতে চেষ্টা করেছিলেন শাদাব, ছিলেন অধিনায়ক মাশরাফীও। শাদাব ১৬ করে আউট হয়েছেন। মাশরাফী ১৩ বলে ১২ করে অপরাজিত থাকেন।
রংপুরের হয়ে জুনায়েদ খান, তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। মোস্তাফিজুর রহমান ও লুইস গ্রেগরির ঝুলিতে গেছে একটি উইকেট।
আগে দিনের প্রথম ম্যাচে ওয়াটসন ১০, নাঈম শেখ ১৭, ক্যামেরন ডেলপোর্টকে (৬) হারিয়ে শুরু করেছিল রংপুর।
লুইস গ্রেগরি ও আল-আমিন ৪৯ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। গ্রেগরি ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৩২ বলে ৪৬, আল-আমিন ৪ চার ও এক ছক্কায় ২৪ বলে ৩৫ করে ফেরেন।
দুজনের গড়ে দেয়া ভিতটা আর কেউ কাজে লাগেতে পারেননি। জহুরুল ইসলাম ৩ চারে ২৪ বলে ২৮ করে রান দেড়শর কাছে টেনে নেন। সেটাই জয়ের জন্য যথেষ্ট হল।
ঢাকার হয়ে এদিন দারুণ বল করেছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। টানা চার ওভারের স্পেলের শেষ ওভারে একটি ছক্কা হজম করেও বেশ আঁটসাঁট রান খরচ তার। ৪ ওভারে ১৭ রানে এক উইকেট নিয়েছেন। রংপুরের সেরা তারকা ওয়াটসনকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন!
অবশ্য উইকেট সংগ্রহের দিক দিয়ে মাশরাফীকে পেরিয়ে গেছেন দুজন। থিসারা পেরেরা ৩ ওভারে ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ইনিংসের শেষ ওভারে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন। শাদাব খান ৪ ওভারে ২৫ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট।