পঞ্চাশ ওভারের সদ্যগত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে অসাধারণ বোলিং করেছেন মাশরাফী। টি-টুয়েন্টির গত বিপিএলেও ছিলেন অনবদ্য। লাল বলের দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটেও এ পেসারের তুলনা হয় না! কিন্তু আন্তর্জাতিক আঙিনায় খেলছেন কেবল ওয়ানডে। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট থেকে মাশরাফীর অবসর বছর পেরিয়ে গেলেও তাই জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এখনও সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে তার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন।
জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটি ওয়ানডের পরিবর্তে হবে টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে। ফরম্যাট বদলে যাওয়ায় খেলা হচ্ছে না মাশরাফীর। ওয়ানডে অধিনায়ককে অপেক্ষা করতে হবে জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে সিরিজ পর্যন্ত।
জুনের শেষ সপ্তাহে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে বাংলাদেশ। সেখানে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে রয়েছে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টির পূর্ণাঙ্গ সিরিজ।
২০০৯ সালের পর টেস্ট খেলা না হলেও সাদা পোশাকে ফেরার ইচ্ছা আছে মাশরাফীর। যে কারণে গত মৌসুমে জাতীয় লিগে খেলেছেন, নিজেকে প্রমাণও করেছেন। মঙ্গলবার খুলনায় শুরু হওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডে খেলবেন সাউথ জোনের হয়ে। মাশরাফী দীর্ঘ পরিসরের খেলা চালিয়ে যাওয়াতেই উঠে আসল টেস্ট প্রসঙ্গটিও।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট দলে মাশরাফীকে নিয়ে কিছু ভাবা হচ্ছে কী? নির্বাচক মিনহাজুল বললেন, ‘এটা পুরোপুরি ওর এবং বিসিবির ব্যাপার। আমাদের যেটা নির্দেশ দেয়া হবে, ওভাবে আগাব। মাশরাফী যদি টেস্ট খেলতে চায় তাহলে খেলবে। কিন্তু আমরা চাচ্ছি, টি-টুয়েন্টিতে ও ফিরুক, ওখানে ওকে আমাদের বেশি দরকার।’
‘একজন ক্রিকেটার একটা ফরম্যাট থেকে অবসরে চলে গেলে সেটা বাদ দিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হয়। তারপরও মাশরাফী ফিরতে চাইলে ওর বর্তমান পারফরম্যান্স চিন্তা করে বিবেচনা করা হবে।’ যোগ করেন মিনহাজুল।
২০০৯ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সবশেষ টেস্ট খেলেছিলেন মাশরাফী। বাংলাদেশ দল আরেকবার যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখনও আলোচনায় মাশরাফী। এই পেসারের টেস্ট দলে ফেরার ইচ্ছা আছে, বোর্ড চাইলে নির্বাচকরাও পারফরম্যান্স বিচারে দলে জায়গা করে দিতে প্রস্তুত। যদি মাশরাফী আর কখনও টি-টুয়েন্টিতে ফিরতে চান না বলে বেশ কয়েকবার জানিয়েছেন।