ডেভ হোয়াটমোর তার নাম রেখেছিলেন ‘পাগলা’। সেটা সেই কলার উঁচু দিনগুলোর কথা। সময়ের পরিবর্তনে ‘পাগলা’ মাশরাফি ‘শান্ত’ হয়েছেন। কলারও হরহামেশা উঁচু হয় না। তাই বলে মাশরাফির খ্যাপাটেরূপ দেখা যাবে না, তা কী হয়! কলম্বোর ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে মাশরাফি ব্যাট হাতে ওই খ্যাপাটে স্বভাবে লঙ্কাকাণ্ড ঘটালেন। শ্রীলঙ্কা বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটি হারলেও মাশরাফির (৫৮) ব্যাটিং অনুশীলন হলো মনে রাখার মতো। সঙ্গে রিয়াদের ৭১ রানের ক্ল্যাসিক ব্যাটিংয়ের পরও জয়ের খুব কাছ থেকে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ।
২৮ বলে অর্ধশতক করার পর মাশরাফি সাজঘরে ফেরেন ৫৮ রানের মাথায়। ৩৫ বলে এই রান করতে চারটি চার এবং চারটি ছয় হাঁকান দলপতি। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল ১৭ রান। মাশরাফি আউট হয়ে যাওয়ায় সেটা আর সম্ভব হয়নি। দুই রানে হারতে হয়েছে দলকে।
রিয়াদ কলম্বো টেস্টের দলে ছিলেন না। অফফর্মের কারণে বাদ দেয়া হয় তাকে। প্রস্তুতি ম্যাচে কেতাবি ব্যাটিং করে মনে করিয়ে দিলেন তিনি ফুরিয়ে যাননি। এদিন ৬৮ বলে ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন বিশ্বকাপের জোড়া সেঞ্চুরিয়ান।
এর আগে শ্রীলঙ্কা বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশ টস হেরে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৫৪ রান সংগ্রহ করে।
দলীয় ৩৬ রানে তাসকিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান দিলশান মুনাবিরা (২৪)। হাফসেঞ্চুরি তুলে স্বেচ্ছা অবসরে যান কুশাল পেরেরা (৬৪)। অন্যদের মধ্যে সান্দান ভিরাক্কোডি ৬৭ রানে ফেরেন।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মুনাবিরা ও ভিরাক্কোডি ১১৪ রান যোগ করেন।
মাশরাফি, তাসকিন, আবুল হাসান রাজু এবং অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা সানজামুল ইসলাম নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে ইমরুল কায়েস রানের খাতা খোলার আগে ফিরলেও সৌম্য সরকার ৪৩ বলে ৪৭ করে সাজঘরে হাঁটা দেন। এরপর সাব্বির রহমানের ৭২ রান বাংলাদেশকে পথে রাখে। ৬৩ বলে ১১ চার, এক ছয়ে এই রান করেন সাব্বির। মুশফিক ২০ রান করে ফিরলেও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (৫৩) অর্ধশতক তুলে নিয়ে আশা জাগান। শেষদিকে মাশরাফি-রিয়াদ আশার পালে হাওয়া দিয়ে মনের মতো ব্যাটিং অনুশীলন করেন ঠিকই, কিন্তু জয়টা অধরাই থেকে গেল।