‘শিকারি’ দিয়ে মালয়েশিয়ায় ‘এমবিসি ফিল্ম প্রোডাকশন’ ডিস্ট্রিবিউট শুরু করেছিল বাংলা চলচ্চিত্র। মাঝখানে মালয়েশিয়ায় অবৈধ কর্মীদের ধরপাকড়ের কারণে এই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রেখেছিল বাংলা ছবির প্রদর্শনী। তবে আশার কথা হচ্ছে দীর্ঘ এক বছর পর ফের নিয়মিত মালয়েশিয়ায় বাংলা চলচ্চিত্র প্রদর্শনের দায়িত্ব নিয়েছে ‘এমবিসি ফিল্ম প্রোডাকশন মালয়েশিয়া’র কর্ণধার রাফি মীর। ২ ডিসেম্বর সেখানে মুক্তি পেয়েছে শাকিব-বুবলি অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘বসগিরি’। আর মুক্তির দিন থেকেই ছবিটি দেখতে দর্শকের তুমুল আগ্রহের কথা চ্যানেল আই অনলাইনকে জানালেন রাফি মীর।
শাকিবের সিনেমা দিয়েই পুনর্যাত্রা কেন?-এমন প্রশ্নে সম্প্রতি রাফি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলে ছিলেন, আমরা আসলে অবজার্ভ করি। দেখি এখানকার(মালয়েশিয়ায়) দর্শকের কোনটাতে আগ্রহ। তো সব মিলিয়ে দেখলাম যে শাকিবের সিনেমার প্রতি এখানকার বাঙালি দর্শকের সবচেয়ে বেশী আগ্রহ। তারা শাকিবের কোয়ালিটিফুল সিনেমাগুলোই দেখতে চায়। তাদের চাহিদা অনুযায়িই আসলে বাংলাদেশ থেকে আমরা সিনেমা নিয়ে আসি।
আর দর্শক চাহিদার কারণেই শাকিবের ‘বসগিরি’ দিয়ে মালয়েশিয়ার বাঙালি দর্শকদের জন্য ফের যাত্রা শুরু হল। সেখানকার ফেডারেল সিনামা হলে শনিবার দুপুর সাড়ে বারোটায় ‘বসগিরি’র প্রথম শো হয়। ৩৬০টি আসনের এই প্রেক্ষাগৃহ প্রথম দিনেই ছিল হাউজফুল। তবে রাফি মীর চিন্তিত ছিলেন রবিবারের শো নিয়ে। কারণ এদিন মালয়েশিয়ায় সাপ্তাহিক ছুটির হওয়ায় ‘বসগিরি’ দেখতে আসনের চেয়ে বেশী দর্শক এসে উপস্থিত হয়। তাদেরকে সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়েছে আয়োজকদের।
আর এমন ঘটনায় ফেডারেল সিনেমা কর্তৃপক্ষকে আরো একটি স্ক্রিণ বরাদ্দ দেয়ার আবেদন করেছেন রাফি মীর। কেননা ‘বসগিরি’র পর শিগগির মুক্তি পেতে যাচ্ছে শাকিবের বহুল আলোচিত আরেক চলচ্চিত্র ‘নবাব’। এরইমধ্যে মালয়েশিয়া প্রদর্শনের জন্য ছবিটির সেন্সর ছাড়পত্রও হাতে পেয়েছেন রাফি।