ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নসহ ১৫ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটে ঢাকাসহ সারা দেশে ভোগান্তিতে পড়েছেন নৌ-পথের যাত্রীরা। যাত্রীবাহী কিছু লঞ্চ চললেও মালবাহী নৌযানগুলো বন্ধ রয়েছে। স্থবির হয়ে পড়েছে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা।
করিমন নেছা, স্বামী-সন্তান নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে বসে আছেন। অপেক্ষা কখন আসবে কাঙ্ক্ষিত লঞ্চ।
বুধবার রাত থেকে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ধর্মঘটে নৌ চলাচল অনেকাংশে বন্ধ হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে সারাদেশের যাত্রীরা।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম ভূইয়া বলেন,‘ ধর্মঘটের দুই অতিবাহিত হলেও সরকার এবং নৌযান মালিকদের পক্ষ থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কোনো আহ্বান আমরা পাইনি। বরং কিছু মালিকের সন্ত্রাসী তৎপরতা দেখতে পাচ্ছি। তবে পটুয়াখালীতে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে যাত্রীবাহী দোতলা লঞ্চ গেছে।
ফেডারেশনের ডাকা ধর্মঘটকে অযৌক্তিক বলছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থা। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন,‘ ৯০ শতাংশ লঞ্চ শ্রমিক ধর্মঘট ডাকা শ্রমিক সংগঠনের সদস্য নয়। শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কাজে যেতে দেয়া হচ্ছে না’।
নৌ-ধর্মঘটের কারণে চাঁদপুর থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, খুলনা, ভোলাসহ ২০টি রুটে লঞ্চসহ সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। দাবি আদায়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন শ্রমিকরা। ধর্মঘটে বরিশালের ৩৮টি অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। খুলনায় নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটে বাগেরহাটের মংলা, খুলনা এবং যশোরের নওয়াপাড়া পর্যন্ত দু’শ’র বেশি জাহাজ, কার্গো এবং লঞ্চ আটকা রয়েছে।
বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের ১৬টি ঘাটে পণ্য ওঠানামা। গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারও বন্ধ। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, ধর্মঘট চলতে থাকলে চট্টগ্রাম থেকে সারা দেশে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হবে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠানামা স্বাভাবিক রয়েছে।