মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালি গ্রামের ঈসমাইল হোসেন ২০১৩ সালে ১০ কাঠা জমিতে গড়ে তোলেন মালটা বাগান। সেই মালটা বাগানে এ বছর প্রচুর ফল এসেছে। চারা এবং মালটা বিক্রি করে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ঘরে তোলার আশা করছেন তিনি।
এই মালটা চাষ করে লাভবান হবার আশা করেছেন এ চাষি। মালটা চাষি ঈসমাইল হোসেনের বলেন, এই চাষটা করতে আমার পাঁচ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। গাছে যে পরিমাণ ফল আছে আশা করছি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারব। ভাল মালটা বাগান হওয়ায় এরই মধ্যে মালটা চারা কিনতে ঈসমাইল হোসেনের বাগানে আসছে অনেকেই।
মালটার চারা কিনতে আসা একজন চাষি বলেন, এই আবাদটা দেখে আমার খুব পছন্দ হয়েছে। এই চাষ খুব লাভজনক তাই তার দেখাদেখি আমিও চাষ করব।
আর একজন মালটা চাষি বলেন, আমি দুই বিঘার মতো জমি তৈরি করেছি এবং চারার ওয়ার্ডারও দিয়েছি। এই চাষ অনেক লাভজনক বলেই মনে হচ্ছে।
মালটা বাগান করতে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। মেহেরপুরের মুজিবনগরের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা খসরু আহমেদ বলেন, উপজেলা এবং জেলা ভিত্তিক এটা যে একটা সম্ভবনাময় চাষ হবে এখানকার অনেক চাষি আগ্রহ দেখিয়েছে। আর এটার যাতটা হচ্ছে ১২ মাসি জাত।
মেহেরপুরের মুজিবনগরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোফাকখারুল ইসলাম বলেন, প্রথম দিকে কেউ বিশ্বাসই করেনি এই ফল আমাদের মেহেরপুরে হবে মুজিব নগরে হবে। এখন স্বচক্ষে কৃষকরা এটা দেখে এই পল চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং দ্বিতীয় শস্য বহুমূখীকরণ প্রকল্প সফল হয়েছে।
মেহেরপুরের আবহাওয়া মাটি বারি মালটা-১ এর জন্য খুবই উপযোগী বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। আগামীতে আরো মালটার চাষ হলে চাষিরা উপকৃত হবে বলে তাদের আশা।