ফরাসি লিগে বড় জয় পেয়েছে পিএসজি। ঘরের মাঠে মার্সেইকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে উনাই এমেরির দল। কিন্তু জয় ছাপিয়ে পিএসজির কপালে চিন্তার ভাজ। কারণ এই ম্যাচেই যে ইনজুরিতে পড়েছেন দলের প্রাণভোমরা নেইমার।
৯ দিন পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে মাঠে নামবে পিএসজি। প্রথম লেগে রিয়ালের মাঠ থেকে ১-৩ গোলে হেরে আসায় ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া প্যারিস জায়ান্টরা। কিন্তু এমন সময় নেইমারের ইনজুরি চরম চিন্তায় ফেলল তাদের। ৬ মার্চ মাদ্রিদ রাজাদের বিপক্ষে ম্যাচ নেইমার-কাভানিদের।
ম্যাচের শেষ ১০ মিনিট দশজনের দল নিয়ে খেললেও প্রায় ৬০ শতাংশ বলের দখল রাখে পিএসজি। আধিপত্য দেখিয়ে ম্যাচের দশম মিনিটেই গোল পায় তারা। স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন কাইলিয়ান এমবাপে। আলভেজের বাড়ানো বল ডি-বক্সে পেয়ে প্রতিপক্ষের জালে পাঠান ফরাসি ফরোয়ার্ড।
এই গোলের মধ্য দিয়ে একটি রেকর্ডও গড়েন এমবাপে। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পিএসজি-মার্সেই ম্যাচে সবচেয়ে কম বয়সী গোল স্কোরার এখন তিনি। ১৯ বছর ২ মাস ৮ দিন বয়সে এই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গোল করলেন এমবাপে। ১৯ বছর ২ মাস ১৭ দিনে গোল করে ২০০৬ সালে রেকর্ড গড়েছিলেন আরেক ফরাসি তারকা সামির নাসরি।
প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের ভুলে ২৭ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এবার আত্মঘাতী গোলে পিএসজিকে এগিয়ে দেন মার্সেইয়ের পর্তুগিজ ডিফেন্ডার রোলাল্ডো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও বেশ সময় নিজের দখলে বল রাখে পিএসজি। ৫৫ মিনিটেই ব্যবধান বাড়ান কাভানি। নেইমারের ক্রস থেকে বল পেয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করেন উরুগুয়ে ফরোয়ার্ড। চলতি লিগে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৪ গোল করলেন কাভানি।
আর চলতি মৌসুমে ১১তম অ্যাসিস্ট করলেন নেইমার। ইউরোপে পাড়ি জমানোর পর এটি তার সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট। নেইমারের চেয়ে এই মৌসুমে বেশি অ্যাসিস্ট আছে কেবল ম্যানচেস্টার সিটির বেলজিয়াম মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনের (১৪)।
পেটের সমস্যার কারণে এই ম্যাচে খেলাই অনিশ্চিত ছিল নেইমারের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাঠে নেমে ভাল ফুটবলই খেলেন তিনি। নিজে গোল না পেলেও সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়ে বেশ ছন্দেই ছিলেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটে ম্যাচের ৭৭ মিনিটে। প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে যেয়ে চোট পান নেইমার। মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর স্ট্রেচারে করে বাইরে নিতে হয় তাকে।
নেইমার মাঠ ছাড়ার পরও দলের খেলায় কোন প্রভাব পড়েনি। যদিও শেষ ৩৫ মিনিটে আর কোন গোলও করতে পারেনি পিএসজি। তবে এসময়ে কোন গোল হজমও করেনি।
এই নিয়ে মার্সেইয়ের বিপক্ষে টানা ১৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকল পিএসজি। ১৩ জয়ের সঙ্গে তিন ড্র। সর্বশেষ হার সেই ২০১১তে। আর ঘরের মাঠে সব প্রতিযোগিতা মিলে ১৮ ম্যাচ জিতল তারা। যার মধ্যে লিগ ম্যাচ ১৪টি।
জয়ে ২৭ ম্যাচে ২৩ জয় এবং দুই ড্রতে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পিএসজি। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে মোনাকো। আর ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে মার্সেই থাকল তিনে।