সুদূর জামার্নিতে বসেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলির প্রতি অনুরক্ত হয়েছিলেন জার্মান সাংবাদিক-লেখক-গবেষক মার্টিন কেম্পশেন। বাংলা কবিতায় মুগ্ধ হয়ে চল্লিশ বছর ধরে রবীন্দ্র গবেষণায় নিয়োজিত এ ভিনদেশি।
বাংলা সাহিত্যকে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করে ইউরোপে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
১৯১৩ সালের ১০ই নভেম্বর বিশ্বকবি, বাংলার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেয়ার অনুষ্ঠানে সুইডিশ একাডেমি বলেছিল, রবীন্দ্রনাথকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে তার গভীর সংবেদনশীল, সতেজ ও সুন্দর কবিতার জন্য।
১৯১২ সালের শেষ দিকে লন্ডনের ইন্ডিয়া সোসাইটি গীতাঞ্জলি’র ইংরেজি সংস্করণ ‘দি সং অফারিংস’ প্রকাশ করে। এই গ্রন্থ পড়ে মুগ্ধ হন জার্মান লেখক-গবেষক-সাংবাদিক মার্টিন কেম্পশেন। সেই মুগ্ধতা থেকেই আশির দশকে তিনি রবীন্দ্র গবেষণা শুরু করেন। রবীন্দ্রনাথের গভীর সংবেদনশীল কবিতা-গান জার্মান ভাষায় অনুবাদ করতেও শুরু করেন তিনি।
মার্টিনের উদ্দেশ্য রবীন্দ্রনাথের বিপুল সাহিত্যকর্ম নিজ দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া। ইউরোপে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করা। জার্মান সাহিত্য, ফরাসি ভাষা, দর্শন এবং নাটকে পিএইচডি পাওয়া এ গবেষক ৪০ বছর ধরে কলকাতার শান্তিনিকেতনে বাস করছেন। তার বিখ্যাত বই ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অ্যান্ড জার্মানি’।
সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছিলেন রবীন্দ্র-গুণমুগ্ধ এ গবেষক। বলেছেন, বাংলা কবিতার যে শ্রুতিমাধুর্য আর ছন্দ তা যে কাউকে মোহিত করে। বাংলাদেশের মানুষ যে ভাষার প্রশ্নে আপোসহীন, তা নিয়েও গর্ব রয়েছে মার্টিনের।
আরও দেখুন ভিডিও প্রতিবেদনে: