মার্চের মধ্যে ট্যানারি না সরালে ৩১ মার্চ থেকে হাজারীবাগে গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির লাইন বন্ধ করে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। শিল্প সচিব বলেছেন, বার বার সময় পেয়েও ট্যানারি মালিকরা অযথাই কালক্ষেপণ করছেন। ট্যানারি মালিকদের দাবি, তারা ব্যাংক ঋণ পাচ্ছেন না।
পরিবেশ ও নদী দুষণের কারণে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে কাঁচা চামড়া কারখানা ট্যানারী সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০৪ সালে। এ সময়ের মধ্যে সাভারের হরিনদরায় চামড়া শিল্প নগরীর জন্য নির্ধারিত স্থানে কেন্দ্রিয় বর্জ্য শোধনের দুটি মডিউল স্থাপিত হয়েছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির লাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ট্যানারি ব্যবসায়ীরা এক যুগে ৮ বার সময় নিয়েছেন। তবে স্থানান্তর করেননি একটি ট্যানারিও।
শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ১৫৫ জন ট্যানারি মালিককে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিপূরনের ২৫০ কোটি টাকাও দেয়া হয়েছে। চামড়া শিল্প নগরী উন্নয়নে সরকারী কাজের ৮০ শতাংশও শেষ হয়েছে।
শিল্প সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ৩১ তারিখের পরে হাজারিবাগে আর কোন কাঁচা চামড়া প্রসেস হবে না। এটা ওদেরকে শক্তভাবে বলে দিয়েছি। এখন হাজারিবাগে বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির যে সংযোগ আছে তা বন্ধ করে দিয়ে সাভারে স্থাপন করতে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখবো।
১২ বছর ধরে একের পর এক কারণ দেখিয়ে ট্যানারি না সরানো ব্যবসায়ীদের এখনো অজুহাতের অভাব নেই। খোদ এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নিজের ট্যানারি সরাতে এপ্রিল পর্যন্ত সময় লাগার কথা জানান। বাকীদের সরাতে চান আরো একবছর সময়।
বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এপ্রিলের ১ তারিখের ভেতরে অত্যন্ত ৩০ টা ট্যানারিকে সাভারে উৎপাদনে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ইনশাল্লাহ এই বছরের মধ্যে সকল ট্যানারি ওইখানে প্রডাকশনে যাওয়া সম্ভব।
সময়মতো ট্যানারি না সরানোর কারণে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্তা ব্যক্তিদের হাইকোর্টের কাছে জবাবদিহি করতে হয়েছে কয়েকবার। পরিবেশ বান্ধব না হওয়ায় বাংলাদেশি চামড়ার সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোতে চামড়া রপ্তানিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।