ফসল উৎপাদন করে তা বিক্রি করতে না পারা চর অঞ্চলের গরীব মানুষের এক বড় সমস্যা। তবে আশার কথা, সমস্যা সমাধানে কাজ শুরু করেছে যমুনা, পদ্মা ও তিস্তা চরাঞ্চলের মার্কেট উন্নয়ন প্রকল্প বা মেকিং মার্কেটস ওয়ার্ক ফর দ্য যমুনা, পদ্মা অ্যান্ড তিস্তা চরস (এমফোরসি)। মানসম্মত ফসল উৎপাদনই নয়, বাজারজাতকরণেও প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করছে।
বাংলাদেশের যমুনা, পদ্মা ও তিস্তার প্রায় ৯শ’ চরে ২০ লাখ গরীব মানুষের বসবাস। প্রচুর আবাদী জমি ও মাটির উর্বরা শক্তির কারণে এসব চরে উৎপাদিত হচ্ছে নানা ধরণের ফসল।
তবে মূল ভূমি থেকে বিচ্ছিন্নতার কারণে আধুনিক উৎপাদন পদ্ধতি ও পণ্য বাজারজাতকরণে বরাবরই সমস্যায় পড়েন চরের কৃষকরা। তবে পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে দিনকে দিন। বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দির দুর্গম এই চরে এসে তারই প্রমাণ মিলেছে।
গরুর দুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন চরে থাকা অসংখ্য মানুষ। প্রতিদিন বহুজাত মিল্ক ভিটা ও প্রাণ কোম্পানির কাছে লিটার প্রতি ত্রিশ টাকা বিক্রি করেন তারা। চরে থেকেই চড়ে বসেই তারা দুধ বাজারজাত করে থাকেন।
ভূট্টা, মরিচসহ চরের ছয়টি ফসলকে টার্গেট করে মার্কেট চ্যানেল গড়ে তোলা হচ্ছে। আর এতে লাভবান হচ্ছে সব পক্ষই। চরের কৃষকরা বলছে ভালো বীজ দিচ্ছে বলে ভালো উৎপাদন হচ্ছে।
প্রাণ কোম্পানির প্রতিনিধিরা বলছেন, এই কৃষকদের সঙ্গে প্রাণ প্রতিনিধিরা সরাসরি মাঠে গিয়ে মরিচের গুণগতমান নির্ধারণ করেন। এবং তাদের কাছ থেকে কিনে আনেন।
আধুনিক উৎপাদন কৌশল ও বাজারজাতকরণে প্রতিনিয়ত মতের আদান প্রদান করছেন চরের কৃষক ও ছোট ব্যবসায়ীরা। ১৮জন কৃষক একসঙ্গে প্রতিমাসে বসে কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন কাজের পরামর্শ করা হয়। শষ্যগুলো একজায়গা করে বাইরের কোম্পানির কাছে বিক্রি করা হয়।
কোন আর্থিক সহায়তা নয়, বরং উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের একটি সহজ যোগসূত্র তৈরী করে দিচ্ছে এমফোরসি।
বগুড়া আরডিএ মহাপরিচালক প্রকৌশলী এম এ মতিন বলেন, সিএলপিতে আমরা যে কাজটা করার কারণে তারা এখন গরু লালন-পালন শিখেছে। গরু চিকিৎসা করা শিখেছে। তারা এখন আবাদ করা শিখছে। কিন্তু বাংলাদেশে যারা কৃষিপণ্য উৎপাদন করে তারাই কিন্তু সঠিক বাজার পায় না।