ট্রাম্প প্রশাসনে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিতে যাচ্ছেন তার মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প। ‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের সহকারি’ (Assistant to the President) পদে কোনো বেতন ছাড়াই এখন থেকে কাজ করবেন তিনি।
বিবিসি জানায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ব্যক্তিগত এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন উপায়ে সহায়তা করতে চেয়েছিলেন ৩৫ বছর বয়সী ফার্স্ট ডটার ইভানকা। কিন্তু তার এ পরিকল্পনা নীতি বিশেষজ্ঞদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়লে তিনি এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
ইভানকা বলেন, ‘আমি শুনেছি ব্যক্তিগত সামর্থ্য থেকে প্রেসিডেন্টকে আমার পরামর্শ দেয়ার ব্যাপারটি নিয়ে কেউ কেউ দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন।’ এ কারণেই প্রেসিডেন্টের প্রশাসনের অংশ হয়েই দেশের সেবা করতে চাই।
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘ফার্স্ট ডটার হিসেবে ইভানকা ট্রাম্প এমন একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয়ায় হোয়াইট হাউজ আনন্দিত।’
অন্যদিকে ইভানকাও এর ফিরতি বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে হোয়াইট হাউজ কাউন্সেলের সঙ্গে কাজ করে আসছেন, ‘এবং আমার অভূতপূর্ব পদের ভূমিকা ঠিকঠাক রাখার জন্য ব্যক্তিগত পরামর্শ প্রদান করছি।’
আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রশাসনের অংশ না হলেও ইভানকাকে হোয়াইট হাউজের ওয়েস্ট উইং অফিস এবং সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স দেয়ায় গত সপ্তাহে নীতি বিশেষজ্ঞরা বিষয়টির তীব্র সমালোচনা করেন এবং একে অবৈধ দাবি করেন।
তাদের বক্তব্য ছিল, ইভানকার পদটি অবশ্যই আনুষ্ঠানিক হতে হবে, যেন তিনিও ফেডারেল কর্মচারীর স্বচ্ছতা ও নীতিগত নিয়মকানুনের আওতায় চলে আসেন। আনুষ্ঠানিক পদ পেলে ইভানকা স্বার্থের দ্বন্দ্ব নিষিদ্ধকরণ বিষয়ক আইনের অধীনেও চলে আসবেন বলে উল্লেখ করেন তারা।
এর জবাবে ইভানকার আইনজীবী জেমি গোরেলিক বলেছেন, তার মক্কেল প্রয়োজনীয় আর্থিক তথ্যাবলী অবশ্যই দাখিল করবেন এবং আনুষ্ঠানিক নীতিমালা অনুসরণ করবেন।
অবশ্য আগে থেকেই ইভানকার স্বামী জ্যারেড কুশনার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত আছেন।