কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তার ফলেই আফগানিস্তানের পতনকে আরও ত্বরান্বিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাককেঞ্জি।
বুধবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শুনানিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসি জানায়, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দোহা চুক্তির ফলে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার আফগান সরকার এবং মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্য সত্যিই ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে বলে জানান জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাককেঞ্জি।
আফগানিস্তানে গত ২০ বছরের যুদ্ধকে ‘কৌশলগত ব্যর্থতা’ বলে স্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল মার্ক মিলি। তালেবানের হাতে মার্কিন সমর্থিত কাবুল সরকারের পতন ঠেকাতে এবং দখল রোধে দেশটিতে কয়েক হাজার মার্কিন সেনা রাখার পক্ষে ছিলেন তিনি।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, এই চুক্তি তালেবানকে আরও ‘শক্তিশালী’ হতে সাহায্য করেছে।
গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতন ঘটে। এর মধ্যে দিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানের হাতে যায়। তালেবানের সঙ্গে অনেকটা বোঝাপড়ার পর ৩০ আগস্ট আফগানিস্তান ত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্র।
আফগানিস্তান থেকে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে তাড়াহুড়ো করে যুক্তরাষ্ট্রের সরিয়ে নিতে গিয়ে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এমনকি শেষ মুহূর্তে কাবুল বিমানবন্দরে আইএসের বোমা হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ প্রায় ২০০ মানুষ নিহত হয়। বিশৃঙ্খলতার মধ্যে দিয়ে অপমানজনকভাবে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।