বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ কর্তৃক হ্যাকিংয়ের বিভিন্ন কৌশল এবং লাখ লাখ লাইনের গোপন কোড ফাঁস করার দাবি করেছে উইকিলিকস।
বিশ্বব্যাপী অসংখ্য গোপন নথি ফাঁস করা উইকিলিকস মঙ্গলবার এক টুইটার পাতায় সিআইএ’র হ্যাকিং কৌশল ফাঁস করার কথা জানিয়েছে। তবে সিআইএ এই তথ্য ফাঁসের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
গোপন নথি ফাঁস করে আলোচনায় আসা সিআইএ’র সাবেক কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেনও নতুন করে ফাঁস করা এই নথিকে ‘বিশ্বস্ত’ বলে টুইট করেছেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদন জানা যায়, ‘উইকিলিকস দাবি করেছে অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ, অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, ওএসএক্স, লিনাক্স এবং ইন্টারনেট রাউটার ছিল ম্যালওয়্যার সহ সিআইএ’র কথিত সাইবার অস্ত্রগুলোর লক্ষ্যবস্তু।’ আঁড়িপাতার কাজে মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে স্মার্ট টিভির সহায়তা পর্যন্ত নেয়া হয়েছে।
তবে এসব সফটওয়্যারের কিছু যুক্তরাষ্ট্রে প্রস্তুত করা হলেও স্যামসাং টিভিতে স্পাইওয়্যার আক্রমণ চালাতে যুক্তরাজ্যের এমআই৫ সংস্থা সহায়তা করেছে বলে উইকিলিকস দাবি করেছে।
উইকিলিকস আরো জানিয়েছে, সিআইএ তার নজরদারির হাতিয়ারগুলোর বেশিরভাগেরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে এবং তাদের প্রকাশ করা এই নথি তা আরো স্পষ্ট করবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে লাখ লাখ লাইনের কোড যা সিআইএ’র নজরদারি সক্ষমতার সবটুকুকে সামনে নিয়ে আসে।
ফাঁসকৃত নথিগুলো ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে সিআইএ’র সেন্টার ফর সাইবার ইন্টেলিজেন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। এসব নথিকে নিজেদের ফাঁস করা সবচেয়ে বড় আকারের গোপন নথি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিবিসির নিরাপত্তা প্রতিবেদক গর্ডন কোরেয়া বলেছেন, এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা নথির কারনে এর আগে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ) যেমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিল, সিআইএ’ও ঠিক একই সমস্যার মুখোমুখি হবে।