আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফেরাতে এবার বেসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থাকে ফ্লাইট পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। দেশটিতে সমঝোতার সরকার গঠনে সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তালেবান নেতারা। আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতার অঙ্গীকার করেছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি।
দেশ ছাড়তে মরিয়া হাজারও আফগান নাগরিক কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে হুড়োহুড়ি করলে গত সাত দিনে প্রাণ হারাণ কমপক্ষে ২০ জন। তালেবান বাহিনী তাদের বাধা দিলেও দেশত্যাগের আশায় বিমানবন্দরমুখী মানুষের স্রোত থামছে না। এতে বাইডেন প্রশাসনের বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে সামরিক বিমানে করে দেশে ফিরতে পারছেন না মার্কিন নাগরিকরা। তাই নিজ দেশের নাগরিকদের নিরাপদে ফেরাতে এবার বেসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোকে ফ্লাইট পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে বাইডেন সরকার।
তালেবান বাহিনী মাত্র কয়েক দিনে গোটা আফগানিস্তান দখল করে নিলেও দেশ চালানোর মতো পারদর্শিতা দেখাতে পারেনি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ইমেজ সঙ্কটেও আছে তারা। বাধ্য হয়ে সমঝোতা সরকার গঠনের দিকে ঝুঁকছে তালেবান বাহিনী। এরই মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং ‘হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন’র চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ’র সঙ্গে বৈঠক করেছে তারা।
এক বিবৃতিতে ক্ষমা ঘোষণা করেছেন আফগানিস্তানের পলাতক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ ও সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামদুলিল্লাহ মহিবকে। তারা নিরাপদে দেশে ফিরতে পারেন বলেও জানানো হয়েছে।
আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তার অঙ্গীকার করেছে মুসলিম বিশ্বের ৫৭ দেশের শীর্ষ সংগঠন ওআইসি। আফগানিস্তান যাতে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের আঙ্গিনা হিসেবে ব্যবহার না হয় ভবিষ্যৎ নেতাদের অবশ্যই তা নিশ্চিত করতে হবে বলে সংগঠনের বিশেষ সভা শেষে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার সাথে সাথেই সেখানে অস্থিরতা তৈরি হয়। গত ১৫ আগস্ট পুরোপুরি দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবানরা।
তালেবানরা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই দেশটির অধিকাংশ সরকারি ভবন, ব্যাংক, পাসপোর্ট অফিস, স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। তবে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় বাঘলান প্রদেশের ৩টি জেলা তালেবানের কাছ থেকে দখলমুক্ত করেছে বিরোধীরা।