সাউথ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গিয়েছিল ১৬২ রানে। চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য তাদের ৪১৭ রান বেধে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দেখার ছিল ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে কতটা এগোতে পারে স্বাগতিকরা। মার্করাম-ডি ককের প্রতিরোধে সেই ঘুরে দাঁড়ানোটা হল দুর্দান্ত। কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতায় বৃথাই যেতে বসেছে লড়াই, জয় দেখছে অজিরা।
ডারবার টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৩৫১ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৭ রান তুলে চারশ পেরোনো লিড নেয় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে প্রোটিয়ারা চতুর্থদিন শেষ করেছে দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেটে ১৯৩ রান তুলে। জিততে চাই আরও ১২৪ রান। উইকেটে শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান কেবল কুইন্টন ডি কক।
আদতে জয় তাই অসম্ভবই মনে হচ্ছে স্বাগতিকদের জন্য। ২৭ বল খেলে রানের খাতা খুলতে না পেরে অপরাজিত থাকা মরকেল ও ৮১ রানে অপরাজিত ডি কক দিনের শেষ ৯ ওভার নির্বিঘ্নে পার করে দিলে পঞ্চম দিনে গড়ায় ম্যাচ। শেষদিনে তারা সফরকারীদের জয় কতক্ষণ বিলম্বিত করতে পারেন সেটিই হয়ত এখন অপেক্ষা!
জবাব দিতে নেমে এলগার ৯, আমলা ৮, ডি ভিলিয়ার্স শূন্য এবং অধিনায়ক ডু প্লেসিস ৪ রানে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেলে দলীয় সংগ্রহ পঞ্চাশের আগেই ধুঁকতে শুরু করে প্রোটিয়ারা।
পরে দুটি জুটির গল্প। প্রথমটি ডি ব্রুইনকে (৩৬) নিয়ে ওপেনার মার্করামের যোগ করা ৮৭ রান, পরেরটি মার্করাম ও ডি ককের জুটিতে আসা ১৪৭ রান। মার্করাম মিচেল মার্শের বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন ১৪৩ রানে থাকার সময়, প্রোটিয়াদের আশার বাতিও বুজে আসতে শুরু করে তখন থেকেই। ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতকটি ১৯ চারে সাজিয়ে ২১৮ বলে খেলা, ৩৪০ মিনিট দীর্ঘ সময় ধরে।
মার্করাম ফেরার পর ফিনল্যান্ডার ৬ ও রানের খাতা না খুলে মাহরাজ এবং রাবাদা ফিরে যান। ডি কক তখন একপ্রান্তে ঠায় দাঁড়িয়ে।
মিচেল স্টার্ক ৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে স্বস্তি এনে দিয়েছেন। হ্যাজেলউড নিয়েছেন ২টি। একটি করে উইকেট গেছে মার্শ ও কামিন্সের দখলে।