শনিবার রংপুরের মাহিগঞ্জ আলুটারীতে একদল মুখোশধারীদের গুলিতে নিহত হওয়া জাপানি নাগরিক হোসি কুনিও হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নিতে আদালতপাড়ায় গিয়েছেন জাপানি প্রতিনিধি। হোসি কুনিও’র মৃত দেহ বুঝে নেয়ার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তারা মৃতদেহ না নিয়ে সেখান থেকে ফিরে যান।
জাপানি প্রতিনিধি পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট আব্দুল মালেকের কাছে মামলার বিষয়বস্তু এবং বাংলাদেশে মামলার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ওই প্রতিনিধিকে আইন-শৃঙ্খলা পদ্ধতি এবং মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে আশ্বস্ত করেন ।
কুনিও’র মৃতদেহ পুনরায় পর্যবেক্ষণ করতে মনের মধ্যে অনেকটা আতঙ্ক নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের পাশ কাটিয়ে মঙ্গলবার রাত ৮টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রবেশ করেন ৪ সদস্য বিশিষ্ট জাপানী বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল। পুলিশি পাহারায় মর্গে ঢুকে টানা দেড় ঘণ্টা সেখানে অবস্থান নিয়ে লাশ পর্যবেক্ষণ করেন তারা।
হোসি কুনিও’র মৃত দেহ বুঝে নেয়ার কথা থাকলেও তা না করে অজ্ঞাত কারণে এই প্রতিনিধি দল সেখান থেকে ফিরে যান। এ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের কেউ কথা না বললেও রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল ফারুক জানান, এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। লাশ হস্তান্তরে আরো বিলম্ব হতে পারে বলে জানান তিনি।
ঢাকায় ইতালীয় নাগরিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রংপুরে হোসি কুনিও’র হত্যাকাণ্ডের অনেকটা মিল থাকায় বিষয়টি নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় বৈঠক করছেন।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। তবে হত্যাকাণ্ডের তদন্তের স্বার্থে সব তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।