দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যপণ্যে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদানের উপস্থিতির তথ্য উঠে আসার প্রেক্ষাপটে হাইকোর্ট বলেছেন: মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যাবে না। এসব ব্যপারে আমরা কোনো ছাড় দিব না।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুধ, দইয়ে ক্ষতিকর মাত্রার অনুজীব, টেট্রাসাইক্লিন, কীটনাশক ও সীসার উপস্থিতি নিয়ে জারি করা রুল শুনানিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ মন্তব্য করে।
এসময় আদালত বলেন: কোন কোন কোম্পানির দুধ বা দুগ্ধজাত খাদ্যপণ্যে ভেজাল রয়েছে তা আমরা চিহ্নিত করতে চাই।
আদালত আরো বলেন: গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিৎ। কারণ তারা বিষয়গুলো সামনে না নিয়ে আনলে আমরা তো এবিষয়ে জানতেই পারতাম না।
এরপর আদালত জাতীয় নিরাপদ খাদ্য গবেষণাগারের গবেষণা প্রতিবেদন আদালতে না দেয়ায় জাতীয় নিরাপদ খাদ্য গবেষণাগারের প্রধান শাহনীলা ফেরদৌসীকে আগামি ২১ মে সকাল সাড়ে ১০টায় তলব করেন।
এছাড়া দুধ, দই এবং পশু খাদ্যে ভেজাল মেশানোয় কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান জড়িত তা জানাতে সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে এবিষয়ে প্রতিবেদন দিতে আদালত ২৩ জুন পর্যন্ত সময় দিয়েছেন।
আজ আদালতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ফরিদুল ইসলাম। বিএসটিআই’র পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সরকার এম আর হাসান মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন সৈয়দ মামুন মাহবুব।
এর আগে গত ৮ মে হাইকোর্ট নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কাছে দুধ, দই এবং পশু খাদ্যে ভেজাল মেশানোয় কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান জড়িত তার প্রতিবেদন চান। ১৫ মে সে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।