মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার আড়ালে মালেয়শিয়ার এক ব্যক্তির কাছ চোরাইপথে স্বর্ণের বার এনে শুল্ক ফাঁকি দিত আব্দুর রাজ্জাক শেখ ও মো. আনোয়ার হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা এ ব্যবসা করছিল।
রাজ্জাক ও আনোয়ারের চোরাইপথে আনা স্বর্ণের ব্যবসা করে নামে বেনামে অঢেল সম্পদের মালিকানার তথ্যসহ বিভিন্ন ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছে সিআইডি।
সোমবার বিকালে স্বর্ণচোরা কারবারীর দুই মূলহোতা আব্দুর রাজ্জাক শেখ ও মো. আনোয়ার হোসেনকে মালিবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অর্গানাইজড ক্রাইম।
মঙ্গলবার এসব তথ্য চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম।
তিনি জানান, বিদেশ থেকে চোরাইপথে স্বর্ণের বার অবৈধভাবে বাংলাদেশে এনে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশের আর্থিক ক্ষতি সাধন করে আসছিল রাজ্জাক ও আনোয়ার। তারা দুজনেই মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবসার আড়ালে স্বর্ণ চোরাকারবারী করত। চক্রের সঙ্গে অন্যান্য জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে।
সিআইডি জানায়, গত রোবাবর স্বর্ণ চোরাকরবারী চক্রের এক সদস্য মালেয়শিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকায় আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরের বোডিং ব্রিজে অবতরণ করলে মো. কাজী কামরুল ইসলাম (৪৬), ফ্লাইট থেকে নেমে বোডিং ব্রিজের মাঝামাঝি স্থানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ট্রাফিক শাখার ঐ ফ্লাইটে কর্মরত গ্রাউন্ড সার্ভিস সুপার ভাইজার মো. ওমর ফারুকের (৩৯) কাছ থেকে কালো রঙ্গের স্কচটেপ মোড়ানো ২ টি বস্তু গোপনে হস্তান্তর করছিল।
ঐ সময় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মরত কর্মকতা ও কর্মচারীগণ তাদেরকে কালো দুটি বস্তুসহ আটক করে। পরে কালো রঙ্গের স্কচটেপ মোড়ানো ২ টি বস্তু খুলে ১০০ গ্রাম ওজনের মোট ১২টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। যার মূল্য আনুমানিক ষাট লাখ টাকা।
এই বিষয়ে ঢাকা আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর থানায় একটি মামলা করা হয় এবং মামলার তদন্তভার সিআইডির উপর চলে আসে।