চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মানহানির আরও একটি মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলকে আগাম জামিন

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রামে দায়ের হওয়া মানহানির মামলায় তাকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই জামিন আদেশ দেন।

সোমবার আদালতে মইনুলের জামিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন এ কে এম এহসানুর রহমান। এসময় আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, মাহবুব উদ্দিন খোকন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রোববার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পাঁচ হাজার কোটি টাকার এ মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবী মাকসুদা বেগম বেবি বাদি হয়ে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি করেন।

এর আগে রোববার নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির দায়ের করা একটি এবং জামালপুরে দায়ের করা আরেকটি মানহানির মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ৫ মাসের আগাম জামিন দেন হাইকোর্টের এই বেঞ্চ। তার আগে এই দুই মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে জামালপুরের আদালতে মানহানির মামলাটি করেন যুব মহিলা লীগের এক নেত্রী।

গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন ‘একাত্তর জার্নাল’-এ রাজনৈতিক সংবাদের বিশ্লেষণ চলছিল। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন উপস্থাপিকা মিথিলা ফারজানা। এতে অতিথি ছিলেন মাসুদা ভাট্টি ও সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত। আলোচনায় স্টুডিওর বাইরে থেকে যুক্ত হন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

আলোচনার ফাঁকে মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন ছিল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কিনা?

এর জবাবে ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই।’

এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াসহ সব জায়গায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের অর্ধশতাধিক সম্পাদক এবং সিনিয়র সাংবাদিকরা মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেন।