শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার পাশাপাশি মানসিকভাবে সুস্থ থাকাটাও খুব প্রয়োজন। কর্মব্যস্ততার কারণে অনেক সময় মন-মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। অনেকে হয়তো বুঝতেও পারেন না সে ধীরে ধীরে মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২০ সালের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর পর মানসিকভাবে অসুস্থ রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হবে। মানসিকভাবে সুস্থ থাকা বলতে বোঝায় প্রতিদিনের সব কাজ সুন্দরভাবে পরিচালনা করা, যে কোনো পরিস্থিতিতে দক্ষতার সঙ্গে সব কিছু সামলে নিতে পারা।
তাই মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে যা করবেন-
রুটিন মেনে চলুন: সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সারাদিন সব কাজ একটি সুন্দর রুটিনের মাধ্যমে পরিচালনা করুন। অর্থাৎ একটি সুন্দর ডেইলি রুটিন মেনে চলুন। রুটিন মাফিক কাজ করলে সব কাজ গুছিয়ে করা হয়। কাজের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় না।
সাপ্তাহে ৫ দিন ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর ও মন দুটিই ফুরফুরে থাকে। শরীরের সঙ্গে মনও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। ব্যায়াম করলে শরীরের ক্লান্তির সঙ্গে মানসিক ক্লান্তিও দূর হয়।
ব্যালেন্স ডায়েট অনুসরণ করুন: প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা এমন হওয়া উচিৎ যেনো সেখানে অবশই ৫ পদের ফল ও বিভিন্ন ধরণের সবজি থাকে। নারিকেল বা ডাবের পানি ও কলাতে প্রচুর পটাসিয়াম থাকে যা মন মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে। ডার্ক চকলেট খেলেও মন অনেক ভালো থাকে। মানসিক অবসাদ দূর হয়।
সখ বা পছন্দের কাজটি করুন: প্রতিদিনের কর্ম ব্যবস্ততার জন্য হয়তো নিজের ইচ্ছা পূরণ করার সময় পান না। তাই ছুটির দিনটিতে কিছুক্ষণ সময় রাখবের নিজের পছন্দের কাজটি করার জন্য। হতে পারে সেটি গান শুনা, গল্পের বই পড়া, বাগান করা, ছবি আঁকা। মনে রাখবেন নিজের পছন্দের কাজটি করলে মন অনেক ভালো হয়ে যায়।
পছন্দের বা ভালোবাসার মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান: মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশি, বন্ধু-বান্ধবীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখাটা অনেক জরুরি। প্রতিদিন পরিবারের সদস্য, পছন্দের বা ভালোবাসার মানুষদের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটাবেন।
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না: মনে রাখবেন মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ প্রয়োজনের জন্য। খুব বেশি মাত্রায় এসব গেজেট ব্যবহার করলে মস্তিষ্ক অবসর পায় না। আরো মনে রাখতে হবে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ১ ঘণ্টা আগে এসব ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।