মানব পাচারের সঙ্গে মালয়েশিয়ারও কয়েকটি চক্র জড়িত এবং যে দেশে মানব পাচার করা হচ্ছে ওই দেশের কারো সহযোগিতা ছাড়া তা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবাধিকার কমিশনের কমিশনার জেমস নিগাম। তবে এদের ধরতে লাগাতার অভিযান চললেও সফলতা পাওয়া যাচ্ছে না।
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন সাজানো গোছানো ছিমছাম একটি ছোট দ্বীপ।একটি পুলিশ ফাঁড়ি ছাড়া আইন-শৃংখলা বাহিনীর তেমন কোনো কাঠামো নেই এখানে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সেখান থেকেই থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ায়সহ বেশ কয়েকটি দেশে বছরের পর বছর মানব পাচার করছে কয়েকটি চক্র।
দিলরুবা খানম নামের একজন নারীর স্বামী দুদু মিয়া আড়াই বছর আগে মালয়েশিয়া রওনা হওয়ার পর থেকে আর তার কোনো খোঁজ নেই।
কান্না ভেজা চোখে দিলরুবা খানম বলেন, ট্রলার নিয়ে সেই যে গেলো সে,আর তার কোনো খবর নেই। সে কি বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে তাও তারা জানে না। আয় করার মত কেউ না থাকায় সংসারটা এখন বহু কষ্টে তাকেই চালাতে হয়।
এক ট্রলারের মাঝি নুরুল আমিনের ভাইয়েরও কোনো খবর নেই চার বছর ধরে।
সেন্টমার্টিনের দুদু মিঞা কিংবা নুরুল আমিনের ভাই আসলেই মালয়েশিয়া পৌঁছেছেন কিনা, সে তথ্য পাওয়া না গেলেও মালয়েশিয়ার মানবাধিকার কমিশন বলছে, প্রায়ই পাচারকারীদের হাত থেকে বাংলাদেশীদের উদ্ধার করা হয়।
মালয়েশিয়ার মানবাধিকার কমিশনের কমিশনার জেমস নিগাম বলেন, তিনি সংখ্যায় উল্লেখ করতে পারবেন না কতজন বাংলাদেশীকে তারা উদ্ধার করেছেন তবে যারা উদ্ধার হয়েছে তাদের মধ্যে কিশোরী এবং শিশু রয়েছে। মালয়েশিয়ার একটি চক্র বাংলাদেশের একটি চক্রকে সহায়তা করছে বলেও জানান তিনি। মালয়েশিয়ার সরকার ওই চক্রকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
নিগাম আরো জানান, ২০১৪ সালের শেষ দিকে একটি জাহাজ থেকে ১৫শ’ নারী ও শিশুকে উদ্ধার করা হয়। এদের বেশির ভাগই বাংলাদেশী। এ নিয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।