মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হবিগঞ্জের মধু মিয়াসহ দুই আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান এ তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। এসময় সংস্থার জ্যেষ্ঠ সদস্য সানাউল হক ও এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ নুর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার ৬৭তম এই তদন্ত প্রতিবেদনে দুই আসামির বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং এলাকায় মুক্তিযুদ্ধকালীন গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষন, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুই আসামির মধ্যে মোঃ মধু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামী পলাতক।
গ্রেফতার হওয়া আসামির পরিচয় তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সনে মহান মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে আসামী মোঃ মধু মিয়া তালুকদার (৬৬) ও তার বংশের লোকজন কনভেনশন মুসলিম লীগের সমর্থক ছিল৷ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সে বানিয়াচ থানাধীন মুরাদপুর ইউনিয়নে পিস কমিটি ও “মধু বাহিনী” নামে একটি রাজাকার দল গঠন করে বলে সাক্ষীদের নিকট থেকে জানা যায়। আসামি মোঃ মধু মিয়া তালুকদার ছিল উক্ত রাজাকার দলের কমান্ডার৷ দেশ স্বাধীনের পর সে পলাতক থাকে৷ আর ১৯৭৬ সনে সে নিজ গ্রামে ফিরে এসে বিএনপির রাজনৈতিক দলে যোগদান করেন এবং ২০১৬ সালে বিএনপি রাজনৈতিক দল থেকে বানিয়াচ থানাধীন মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়৷ বর্তমানে সে মুরাদপুর ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি ৷