আপিল শুনানি থেকে রায় ঘোষণা; এর মধ্যে সময়ের ব্যবধান ৪৮ দিন। আপিল বিভাগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এ পর্যন্ত ঘোষিত রায়ের মধ্যে সবচেয়ে কম সময়ে ঘোষিত হলো জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের রায়।
এ মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়েছিলো ২৯ এপ্রিল। গত ২৭ মে শুনানি শেষ হওয়ার দিনেই রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন সর্বোচ্চ আদালত।
এর আগে জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার মামলার ক্ষেত্রে শুনানি থেকে রায় ঘোষণা পর্যন্ত ১৭০ দিন সময় নিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। কাদের মোল্লার আপিল শুনানি শুরু হয় ২০১৩ সালের ১লা এপ্রিল। আপিলের রায় ঘোষণা করা হয় ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর।
আরেক যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের আপিলের শুনানি থেকে রায় ঘোষণায় সময় লাগে ১৫২ দিন। ওই মামলার আপিল শুনানি ২০১৪ সালের ৫ জুন থেকে শুরু হয়ে একই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। অপেক্ষমান রাখার পর ওই বছরের ৩ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।
আগের দু’টি মামলায় রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হলেও মুজাহিদের আপিল শুনানি শেষ হওয়ার পরপরই প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে ৪ সদস্যের বেঞ্চে রায়ের তারিখ জানিয়ে দেন।
আপিল বিভাগে শুনানি শেষে রায়, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে ২০৬ দিনের মাথায় কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হয়। আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয় আপিল বিভাগে শুনানি শেষ হওয়ার ১১০ দিনের মাথায়।
কাদের মোল্লার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের ৪৮ দিনের মাথায় ৫ ডিসেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ের ৭ দিনের মাথায় কার্য্কর হয় ফাঁসি। অর্থাৎ আপিল বিভাগে শুনানি শেষ হওয়ার ১১০ দিনের মাথায় কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
অন্যদিকে, কামারুজ্জামানের মামলায় ট্রাইব্যুনালে ফাঁসির রায় হয় ২০১৩ সালের ৯ মে। রায়ের ১০৭ দিনের মাথায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। রিভিউ আবেদন খারিজ হলে এর পূর্ণাঙ্গ রায়ের ৫৩ দিনের মাথায় ১২ এপ্রিল ফাঁসি কার্যকর হয়। অর্থাৎ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে আপিল বিভাগে শুনানি শেষ হওয়ার ২০৬ দিনের মাথায়।