এক ম্যাচ বেশি খেলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা থেকে দুই পয়েন্ট এগিয়ে ছিল রিয়াল। তাতে মাদ্রিদ ডার্বির দিকে পাখির চোখ করে ছিল কাতালানরা। বার্সাকে হতাশ করেনি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে ১-১ গোলে রুখে দিয়ে দুই পয়েন্ট কেড়ে নিয়েছে অ্যাটলেটিকো। রাতে মালাগার বিপক্ষে জিতলে শীর্ষে ওঠার সুযোগ থাকছে লুইস এনরিকের দলের।
স্প্যানিশ লিগে শনিবার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আতিথ্য নিয়েছিল ডিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জিনেদিন জিদানের দল ঘরের মাঠে আধিপত্য ধরে রেখেই খেলছিল। পেপের গোলে এগিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু অ্যান্টনে গ্রিজমানের দুর্দান্ত গোলে রোজাব্লাঙ্কোদের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে বাধ্য হয় লস ব্লাঙ্কোসরা।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে প্রথম সুযোগটি পায় রিয়াল। কাসামিরোর পাসে বল পেয়ে বক্সের মধ্য থেকে শট নিয়েছিলেন রোনালদো, অতিথি গোলরক্ষক ইয়ান ওব্লাক দারুণ দক্ষতায় সেটি ঠেকিয়ে দিলে উল্লাসে মাতা হয়নি স্বাগতিকদের।
এদিন যেন চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ওব্লাক। ম্যাচের ২৮ মিনিটে আবারো রক্ষাকর্তা তিনি। রোনালদোর বাড়ানো বলে গোল বরাবর শট নিয়েছিলেন বেনজামা। কর্নারের বিনিময়ে সেদফা জাল অক্ষত রাখেন স্লোভেনিয়ান এই গোলরক্ষক।
পরে ৩১ মিনিটে রোনালদোর আরেকটি শট অ্যাটলেটিকো ডিফেন্ডার সাভিচ মাথা ছুঁয়ে ফিরিয়ে দিলে গোল বঞ্চিত হয় ব্লাঙ্কোসরা। এতে গোলশূন্যই কাটে হাইভোল্টেজ ম্যাচের প্রথমার্ধ।
মধ্যবিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের ধার বাড়ায় রিয়াল। ম্যাচের ৪৯ মিনিটে রোনালদোর হেডে বেনেজামার শটে আবারো দেয়াল হয়ে দাঁড়ান সেই ওব্লাকই।
কিন্তু ৫২ মিনিটে আর দলকে বাঁচাতে পারেননি ম্যাচে অ্যাটলেটিকোর অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। এসময় টনি ক্রুসের ফ্রি-কিক থেকে জটলার মধ্যে বল পেয়ে যান পেপে। তাতে মাথা ছুঁইয়ে নগর প্রতিদ্বন্দ্বিদের জাল খুঁজে নেন পর্তুগিজ ডিফেন্ডার।
গোল খেয়ে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে অ্যাটলেটিকো। কিন্তু ম্যাচের ৬০ মিনিটের মাথায় স্বাগতিক গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে একা পেয়েও জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন অতিথি মিডফিল্ডার সাউল। ৭৪ মিনিটে অ্যান্টনে গ্রিজমানের দুর্দান্ত বাইসাইকেল কিকটি ঠিকানা খুঁজে পেলে স্বাগতিকদের হাসি মিইয়ে যেত। গোলরক্ষক নাভাস সেটি ফিরিয়ে দিলে বঞ্চিত হয় অ্যাটলেটিকো।
কিন্তু ৮৫ মিনিটে আর রিয়ালের মুখে হাসি রাখতে দেয়নি অতিথিরা। অ্যাঙ্গেল মার্টিনের ডিফেন্স চেরা পাসে নাভাসকে বোকা বানিয়ে জাল খুঁজে নেন গ্রিজমান। শেষ দিকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের পসরা বসলেও ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে দুদলকে।
এই ড্র্য়ে ৩০ ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকল রিয়াল। রাতে মালাগার মাঠে বার্সা জিতে গেলে শীর্ষস্থান হারাবে তারা। তবে তখনো এক ম্যাচ হাতে থাকবে রিয়ালের। লিগের সমাধান তাই মৌসুমের দ্বিতীয় এল ক্ল্যাসিকোতেই হওয়ার সম্ভাবনা জাগছে।