টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভার আকাশী শেওড়াতলা এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘উলূমে দ্বীনিয়াহ্ মাদ্রাসা’য় শ্রেণি শিক্ষক ফজলুর রহমানের নজিরবিহীন নিমর্মতার শিকার হয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানের হেফজ বিভাগের ১২ বছরের শিশু ছাত্র রিফাত হোসেন। শিক্ষকের বেদম প্রহারে ফলে শরীরে গুরুতর জখম নিয়ে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রিফাত।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত ২ এপ্রিল সোমবার হেফজ বিভাগের শ্রেণি শিক্ষক ফজলুর রহমান রিফাতকে আরবি ‘ফাঁ’ শব্দটি উচ্চারণ করতে বলেন। এসময় রিফাত তা সঠিক ভাবে উচ্চারণ করতে অক্ষম হয়। আর এ অপরাধে রিফাতকে বেত দিয়ে বেধড়ক প্রহার করেন তিনি। এতে রিফাত গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, ওই শিক্ষক এর আগেও বহুবার ছাত্রদেরকে মারপিট করলে এলাকায় কয়েক দফায় সালিশি বৈঠক হয়েছে। এসব ঘটনার পরও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তারা এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষক ফজলুর রহমানের শাস্তি দাবি করেন।
আহত রিফাতের বাবা নুরুজ্জামান জানান, তার ছেলেকে যেভাবে পিটানো হয়েছে তা কোনভাবেই একজন শিক্ষকের কাজ হতে পারেনা। তিনি ফজলু মাস্টারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক ফজলুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তাঁদের কাজ শিক্ষার্থীদের শেখানো। পড়া না পাড়লে এক-আধটু শাসন করতেই হয়।
এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রাশেদুজ্জামান জানান, চিকিৎসা দেয়ার পর ছেলেটি বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে কিছুদিন সময় লাগবে।
মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।