মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শিবচরে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৪ জনকে আটক করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মাদবর ও সাবেক চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন বেপারীর মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ চলছিল। করোনা সংক্রমণের কারণে স্থগিত হওয়া ইউপি নির্বাচনে ওই ইউনিয়নে আতিকুর রহমান মাদবর ও মনোয়ার হোসেন বেপারী দুজনেই চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় ওই ইউনিয়নের আকনকান্দি গ্রামে আতিক মাদবরের সমর্থক মিরাজ আকন ও মনোয়ার বেপারীর সমর্থক তুষার বেপারীর মধ্যে ইউপি নির্বাচন নিয়ে কথাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তুষার বেপারী মিরাজ আকনকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কুতুবপুর বাজারের ডেকোরেটর ব্যবসায়ী মনোয়ার বেপারীর সমর্থক সাবেক ইউপি সদস্য আ. সালাম মাদবরকে (৬৫) তার দোকানে ঢুকে আতিক মাদবরের সমর্থকরা কয়েকজন মিলে মারধর করে। এরই জের ধরে শনিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে সাহেব বাজারে মনোয়ার বেপারীর বাড়ি সংলগ্ন একটি মার্কেটে মনোয়ার বেপারীর ছোট ভাই মানজার বেপারীর নেতৃত্বে ভাঙচুর চালানো হয়। এসময় দুলাল বেপারীসহ আতিক মাদবরের সমর্থকরা মার্কেটের সামনে জড়ো হলে নিজ বাড়ির ছাদ থেকে তাদেরকে লক্ষ্য করে মানজার বেপারীর নেতৃত্বে গুলি ছোড়া হয়।
গুলিতে মাহবুবুর রহমান (৩৮), এসকান বেপারী (৪০), কাউসার বেপারী (৩৭), আ: রাজ্জাক মাদবর (৬৫), ওবায়দুল বেপারীসহ ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ এ ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোয়ার হোসেন বেপারী, শাহাদাৎ বেপারী, কাদির বেপারী, আলমগীর বেপারীসহ ৪ জনকে আটক করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিরাজুল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।